কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১১ আসামির যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ইবি থানার বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী ফরিদুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযুক্ত এক আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার সময় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এই রায় দেন। এ সময় মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে ৭ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৫ আসামি পলাতক আছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- কুষ্টিয়ার ইবি থানা বানিয়া পাড়া গ্রামের নফছের আলীর ছেলে জগো আলী (পলাতক) এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- একই থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বদর উদ্দিনের পুত্র ইলাম মন্ডল ওরফে কালু (পলাতক), বৃত্তিপাড়া গ্রামের মনোয়ার মন্ডলের পুত্র শহিদুল, গজনবীপুরের ফকির মন্ডলের পুত্র বাদশা মন্ডল (পলাতক), দেড়িপাড়া গ্রামের তয়াক্কেল জোয়াদ্দারের পুত্র আলিম জোয়াদ্দার, বারুইপাড়া গ্রামের আফাজ সদ্দারের পুত্র আমিরুল ইসলাম, উজান গ্রামের মোনাউল্লার পুত্র বাবলু (পলাতক), তাইজাল আলীর পুত্র সাইদুল, ইজ্জত আলীর পুত্র মিজানুর রহমান, ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন, মজিদ মন্ডলের পুত্র আসাদুল ও সামসুল আলীর পুত্র ইউনুছ আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৩ তারিখে চরমপন্থি সন্ত্রাসী ফরিদুলের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মানিক মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেন। পরে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ফরিদুলের সহযোগী জগোসহ অন্য সন্ত্রাসীদের সাথে ফরিদুলের বিরোধ বাধে, এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরিদুলের সহযোগীরা ফরিদুলের মাথা কেটে তাকে হত্যা করে। তার মাথা ইবি থানার বারুইপাড়া গ্রামের একটি ব্রিজের ওপর রেখে দেয়, পরে পুলিশ এসে ওই কাটা মাথাটি উদ্ধার করে। এই ঘটনার পরের দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একই থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই প্রদান করেন।

এ দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে রানা হোসেন এবং বেলি খাতুন নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমান। এই মামলার দুই আসামি পলাতক থাকায় আসামিদের অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হয়।

মেপ্র/ইএম