কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মসহ নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ তুলেছে।

আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অভিযোগটি উত্থাপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুজ্জামান এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪শে অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল কাদের। যোগদানের পর থেকেই নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুরু করেন অনিয়ম ও দূর্নীতির মহাৎসব। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কুষ্টিয়া কুমারখালী সমাজসেবা অফিসের সংস্কার কাজের বরাদ্ধের ৫ লক্ষ টাকা নামমাত্র কাজ করেই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস্যে তা তুলে নেওয়া হয়। সে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি কাজ। এছাড়াও একই অর্থ বছরে কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবারের দুটি ভবনের সংস্কার কাজের ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে কাজ শেষ না করেই। এভাবেই জেলা সমাজসেবা অফিসের অধিকাংশ কাজেই হয়েছে। এছাড়াও এতিমখানা পরিদর্শনে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিতেও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। যা নিয়ে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।

এসব নিয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করে তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সংস্কার কাজের বরাদ্ধের ৫ লক্ষ টাকা নামমাত্র কাজ করেই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে তা তুলে নেন উপপরিচালক।

এসময় জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার কাছে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের।

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দপ্তরে রাতের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়াসহ সাংবাদিক রুবেল হত্যা মামলা, পাসপোর্ট অফিসে এসে বাইরের লোক কাজ করে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া এবং মুজিবনগর সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন গ্রুপের টেন্ডার অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভাগাভাগি করার অভিযোগ তোলা হয়।

এদিকে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমন্বয় পরিষদ কুষ্টিয়ার সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, সমাজের বিত্তবানদের অনুদানে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান চলে। আমাদের কাছে প্রতমাসে মোটা অংকের টাকা দাবী করেছে উপপরিচালক। এবং ২৭ হাজার টাকার চেক মারফত জোর করে চাঁদা হিসেবে নিয়েছেন। এটা অবশ্যই চাঁদাবাজি। এভাবে প্রতিমাসে চাঁদার টাকা দিতে হবে বলেও জানান তিনি। বর্তমান উপপরিচালক আমার কাছে অনৈতিকভাবে টাকা চাওয়া মানেই তো চাঁদাবাজী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।