কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে হঠাৎ করে এভাবে বাস চলাচল বন্ধের ফলে অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে বিকল্প হিসেবে ট্রেন ও প্রাইভেট কার ভাড়া করে খুলনায় যাচ্ছেন অনেকে।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে এ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুল ইসলাম।

তিনি জানান, খুলনায় জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্র-শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যার কারণে খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার অবৈধ যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী বাস বন্ধ থাকায় কাউন্টারে আসা যাত্রীরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আছিয়া বেগম নামে এক যাত্রী জানান, হুট করে এভাবে বাস চলাচল বন্ধের ফলে টার্মিনালে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। কয়েক দিন পরপরই বাস মালিক সমিতি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এমন ধর্মঘট করায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আরিফুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনে যেতে হবে। তাই টার্মিনাল থেকে ষ্টেশনে যাচ্ছি ট্রেন পাওয়ার জন্য।

সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি খুলনাগামী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশিরাও ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। সরেজমিনে শুক্রবার কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলাচল করেনি। খুলনাগামী অধিকাংশ পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ঘোষিত খুলনা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যাতে আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে পৌঁছাতে না পারে এজন্য বাস বন্ধ রয়েছে। এটা সরকারে একটা চক্রান্ত।

এছাড়া রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ীতে পুলিশ গিয়ে হয়রানিসহ কয়েকজনকে আটক করেছে। তারপরেও আমরা গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী রুমী জানান, খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা বাসের পরিবর্তে ট্রেন, প্রাইভেট কার, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন যেটা পাচ্ছে, তাতেই খুলনার দিকে যাচ্ছে। সরকার বাস বন্ধ রেখে আমাদের নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না