কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধ উচ্চারণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধ উচ্চারণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় শুদ্ধ উচ্চারণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. শাহজাহান আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উদ্যোক্তা প্রফেসর ড. মো: জহুরুল ইসলাম।

উচ্চারণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উচ্চারণ প্রশিক্ষক জ গবেষক এবং কণ্ঠশীলনের সভাপতি গোলাম সারোয়ার।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক অনুষদের ডীন ও সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষা মেলায় আহবায়ক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর হাসিবুর রশিদ তামিম, আবৃত্তি পরিষদ কুষ্টিয়ার সভাপতি কবি আলম আরা জুই প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলা অনেক সমৃদ্ধ ভাষা। এর শব্দ ভাণ্ডার অফুরন্ত। রয়েছে নানা বৈচিত্র্য এবং মাধুর্য। শিক্ষিত সমাজ, শিক্ষকদের এবং গণমাধ্যমের জন্য একটি পরিমিত বাংলা ভাষা দরকার। শিক্ষকরা যদি নিজেই ভালো বাংলা না বলতে পারেন তাহলে শিক্ষার্থীদের শেখার কোনো সুযোগ নেই। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করার আগে জরুরি হলো আমরা শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে এবং লিখতে পারি কিনা তা যাচাই করা। যারা বাংলায় লেখালেখি করেন তারা অবগত আছেন ব্যাকরণসম্মতভাবে বাংলা বাক্য তৈরি করা এবং শুদ্ধ বানানে বাংলা শব্দ লেখা কতটা কঠিন।

সভ্যতা শেখানোর জন্য শুদ্ধ উচ্চারণ ভীষণ প্রয়োজন উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বাংলা ভাষাকেও আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হতে হবে। নইলে বাংলাদেশ বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতির যুগে পিছিয়ে যাবে।

রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষা মেলার সপ্তম দিনে শুদ্ধ উচ্চারণের পাশাপাশি আবৃত্তি, সংবাদ উপস্থাপনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে শতাধিক কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আবৃত্তিকার, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।