
পিতা কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেয়ে সানজিদা আক্তার ও ছেলে আরাফাত হোসেনের। গত ৬ মাসের চিকিৎসায় সঞ্চয়ের সবটুকু শেষ করে এখন সহায়তার জন্য গ্রাম-গঞ্জে ঘুরছেন সাহেব আলী-শাহনাজ দম্পতি। সামান্য সহায়তা পেলে ফিরে পেতে পারেন স্বাভাবিক জীবন। সব বুঝতে না পারলেও শিশু দুইটিও ঘুরছে পিতা-মাতার সঙ্গেই। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এ দম্পতি।
জানা যায়, ফয়েজ উদ্দিনের ৫ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সাহেব আলী সবার বড়। বয়স মাত্র ৩০ হলেও রোগে আক্রান্ত হয়ে চোখে-মুখে বয়সের ছাপ পড়েছে। প্রায় ৮ বছর আগে শাহনাজের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সংসারে দুই সন্তান মেয়ে সানজিদা আক্তার (৫) ও ছেলে আরাফাত হোসেন (৩)।
দিনমজুরের কাজ করেই চলত তাদের সংসার। যা কিছু সঞ্চয় করেছিলেন, গত ৬ মাসের চিকিৎসায় সবই শেষ। এখন সংসার চলছে অন্যের সহায়তায়। থেমে গেছে সাহেব আলীর চিকিৎসা, থেমে গেছে শিশু দুইটির পড়াশোনা। সহায়তার আশায় পিতা-মাতার সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরছে শিশুরাও। তারা জানে না পিতার অসুস্থতার কথা শুধু দেখছে পিতা একটানা মন খারাপ করে বসে থাকে। আগে যেভাবে খাবার বা নতুন জামাকাপড় এনে দিতেন, এখন আর তা পারেন না। এতে শিশুদের মনও খারাপ হয়ে থাকে।
সাহেব আলী বলেন, ৬ মাস হলো কিডনি রোগ ধরা পড়েছে। এরপর যশোর, ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতাল ও পিজিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ৬ মাসে যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। এখন সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। খরচ ৮-১০ হাজার টাকা। ওপর থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান। আপনাদের সহায়তা পেলে হয়তো আবার জীবন ফিরে পেতে পারি, আমার সন্তানদেরও বাঁচার নিশ্চয়তা মিলতে পারে।
তাঁর পিতা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমার ৫ ছেলে-মেয়ে। আবাদযোগ্য জমি নেই, শুধু বসতভিটা। যা সঞ্চয় ছিল সব তাঁর চিকিৎসায় খরচ হয়েছে। আপনাদের সহায়তায় আমার ছেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, বাঁচবে তার সংসার।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত ডায়ালাইসিস হওয়া রোগীদের জন্য এ অফিস থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ব্যবস্থা আছে। ভুক্তভোগীকে আবেদন করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


