কোটচাঁদপুরে আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

কোটচাঁদপুরে আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্ম*হত্যার প্রবণতা

কোটচাঁদপুরে আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গেল এক মাসে কিটনাশক,ঘুমের ট্যাবলেট ও গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছেন ৩৩ জন। এরমধ্যে   পুরুষ থেকে নারীর সংখ্যই বেশি। জনসচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়,গেল মে মাসে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কীটনাশক পান করে,ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ও গলায় রশি দিয়ে ৩৩ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। যার বেশির ভাগই ছিল নারী।

এরমধ্যে গেল ৩ তারিখে কিটনাশক পান করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ২ জন নারী, ৪ তারিখে ১ পুরুষ ১ নারী,৫ তারিখে ১ নারী, ৯ তারিখে ১ জন নারী, ১০ তারিখে ২ জন নারী, ১২ তারিখে ২ জন নারী, ১৩ তারিখে ২ জন নারী, ১৪ তারিখে ১ জন পুরুষ, ১৬ তারিখে ১ নারী, ১৭ তারিখে ১ পুরুষ, ১৮ তারিখে ১ পুরুষ ১ জন নারী, ২০ তারিখে ১ পুরুষ ১ নারী,২১ তারিখে ১ জন পুরুষ ১ জন নারী, ২২ তারিখে ১ জন নারী,২৩ তারিখে ২ জন নারী ১ জন পুরুষ,২৪ তারিখে ১ জন পুরুষ, ২৫ তারিখে ১ জন নারী, ২৭ তারিখে ১ জন নারী ২৯ তারিখে ১ জন নারী, ৩১ তারিখে ২ জন নারী।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে কোন কমিটি নাই। তবে আমরা সব সময় এটা নিয়ে মানুষের সাথে কাজ করি।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটা সামাজিক ব্যাধি, এটা সামাজিক ভাবে আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে।  আর এ কাজটি কারো একার পক্ষে করা সম্ভব না। সবাই সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে এলে এটা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) রাইসুল ইসলাম (জুয়েল) বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কোন আইন নাই। তবে প্রতিরোধে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রগাম আছে। যার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন হলে হয়।

এ এলাকায় মানুষ কেন আত্মহত্যার মত পথ বেচে নেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধু কোটচাঁদপুর না, খুলনা বিভাগের মানুষ একটু বেশি ইমোশনাল। ছোট কিছুতেই ইমোশনাল হয়ে পড়ে, আর আত্মহত্যার দিকে ঝুকে পড়েন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে একক কোন কমিটি নাই। তবে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, আত্মহত্যা এ  সব কিছু নিয়ে কমিটি আছে, উপজেলা সহ প্রতিটি ইউনিয়নে।

যারা প্রতিরোধে কাজ করে থাকেন। কমিটিগুলো সক্রিয় আছে কি, জানতে চাইলে, তিনি বলেন, থাকার কথা। এরপরও খোজ খবর নিয়ে দেখছি,কি অবস্থা।

তিনি বলেন, এটা আইন করে বন্ধ করা সম্ভব না। জনসচেতনতার মাধ্যমে এটার প্রতিরোধ করতে হবে।