কোটচাঁদপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সভা বর্জন করল অন্যান্য সদস্যরা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি’র সেচ্চাচারিতা ও একক আদিপত্ত বিস্তারের প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা বর্জন করেছে উপজেলা পরিষদের ২ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৯ জন জনপ্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ২জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ২জন মহিলা সদস্যরা একমত পোষণ করে এই সভা বর্জন করেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যথারীতি উপজেলা পরিষদের হল রুমে মাসিক সভা শুরু হয়। সভা চলাকালিন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেসেচ্চাচারিতা ও একক আদিপত্ত বিস্তারের বিষয়টি তুলে ধরেন। পরিষদ সদস্যরা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরলে উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি’র সাথে অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বাক-বিতন্ডা হয়। এতে ৯জন জনপ্রতিনিধি উপস্থিত স্বাক্ষর না করে সভা বর্জন করে হলরুম থেকে বেরিয়ে আসেন।

এরা হচ্ছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন রিয়াজ হোসেন ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকী, সাবদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নওশের আলি নাসির, এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কুশনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, দোড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাছরিন বেগম ও সুচিত্রা মালাকার।

সভা বর্জন করে ওই সকল জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুননেছা মিকি’র মত আমরাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু উপজেলা পরিষদের সরকারী অনুদান ও বরাদ্দে’র কোন বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের সাথে আলাপ না করে সভায় উপস্থিত স্বাক্ষর করে নিয়ে দায় সারেন। তিনি নিজের মত করে কাজ সেচ্চাচারিতা করছেন। অথচ আমরা জনপ্রতিনিধি হলেও নিজ নিজ এলাকার মানুষের জন্য কোন উপকারে আসতে পারছিনা। সভা বর্জনকারী জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এডিবি’র বরাদ্দের ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে বিতরণের কাজও তিনি নিজেই করেন। কখনো আমাদেরকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমরা সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলা প্রসাশক ও বিভাগীয় কমিশনারকে জানাবেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, একঘণ্টা ধরে সভা চলছিলো। বর্জনের বিষয়টি ঠিক না। তবে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এবং শেষের দিকে দুই একজন করে হলরুম থেকে বেরিয়ে গেছে। ঘটনাটি কাকতালীয় ভাবে ঘটেছে। সবার সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছি।
উপস্থিত স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর না করে থাকলে তার তো স্বাক্ষর নিতে হবে। এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুননেছা মিকি বলেন, অন্যান্য সদস্যরা নিয়ম বহির্ভূত বায়না করলে তো হবে না । যে কোন অনুদান বা সরকারী বরাদ্দ নিয়ে কাজ করতে গেলে আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। যে কারণে আমার এখতিয়ার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এতে হট্টগোল করার কিছু নেই।