
গলায় ফাঁস দিয়ে শিমুল হোসেন (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে কাগমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।
জানা যায়, কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে শিমুল হোসেন (১৯)। সে কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডের শওকত আলীর ওয়েলডিং কারখানায় কাজ করেন। পেশায় সে ওয়েলডিং মিস্ত্রি। শিমুল রাতে প্রতিনিয়ত দেরিতে ফেরেন। আর কাজ করে টাকা পযসার কোন হিসাব দেন না বাড়িতে।
এ নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে শিমুল বাড়িতে ফিরলে, তাঁর পিতার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। সে ক্ষোভে শিমুল রাতের খাবার খেয়ে তাঁর শোবার ঘরে শুয়ে পড়েন। এরপর রাতে কোন এক সময় তাঁর শোবার ঘরের বাশের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান শিমুলের ভাবী বন্যা খাতুন। লাশ দেখে সে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে তেমন কিছু পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।