
চার বছর দশ মাসেও শেষ হয়নি কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। কক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে বিজ্ঞান ল্যাব, কমন রুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। সে সময় থেকে সুনামের সঙ্গে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এতো শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে বিদ্যালয়ে আছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কমন রুম, বিজ্ঞান ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিসও রয়েছে।
ফলে শ্রেণিকক্ষের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়। যার প্রথম তলার নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি। তবে কাজটি একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি বাতিল করেছে এবং নতুন করে রি-টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কক্ষ সংকটে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক পাঠদানের পরিবেশ। তারা কখনও কমন রুমে, কখনও বিজ্ঞান ল্যাবে, আবার কখনও কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ ও অনন্ত ঘোষ বলেন, কক্ষ সংকটের কারণে আমাদের বসার জায়গা খুবই কম। ঠিকভাবে বসতে না পারায় ক্লাস করতে অসুবিধা হয়।
অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও একই অভিযোগ করে দ্রুত নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ করে কক্ষ সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ছয়শ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তাদের পাঠদানের জন্য ১৮ থেকে ২০টি কক্ষ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে আছে মাত্র ১৪টি। ফলে বাধ্য হয়ে ল্যাব, কমন রুম ও কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস নিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করার পর ভবন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় আছি।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ঠিকাদার কাজটি পাওয়ার পর শুরু করলেও গুরুত্ব না দেওয়ায় একাধিকবার বন্ধ রেখেছে। কয়েকবার তাগাদা দেওয়ার পরও নির্ধারিত সময় (১৩-১০-২০২১) এর মধ্যে কাজ শেষ না করায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করা হবে।