ভাড়াটে হিসেবে খুলনা থেকে চুরি করতে এসে ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন এক চোর। সহযোগীরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। রোববার সকালে ঘটনাটি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আরব হোসেন।
নাইট গার্ড শরিফুল ইসলাম বলেন, “রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আজম ভাইদের ভবন থেকে একটি শব্দ শুনতে পাই। পরে আরব ভাইকে ডেকে তুলি। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ ছাদে উঠে এক চোরকে দেখতে পায়। পালানোর চেষ্টা করে সে। প্রথমে তিনতলা ভবন থেকে দ্বিতীয় তলায় এবং পরে দ্বিতীয় তলা থেকে মাটিতে লাফ দেয়, এতে সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে, তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।”
আটককৃত চোরের নাম সোহেল আহম্মেদ। তিনি খুলনার সাচি বুনিয়া লবনচোরা গ্রামের দেলবার আহম্মেদের ছেলে। পলাতকরা হলেন একই এলাকার আলামিন হোসেন এবং আব্দুল গফুরের ছেলে (নাম উল্লেখ হয়নি)।
ভুক্তভোগী আরব হোসেন কোটচাঁদপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। তার ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, “নাইট গার্ড সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। তার সতর্কতার কারণেই আজ আমরা রক্ষা পেয়েছি।”
ধৃত চোর স্বীকার করেছেন, তিনি ভাড়াটে হিসেবে চুরি করতে এসেছিলেন। ধরা পড়ার পর তার সহযোগীরা তাকে ফেলে পালিয়ে গেছে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত চোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মই উদ্ধার করা হয়েছে।”