কোটচাঁদপুরে বাল্য বিবাহ হলে ইমাম ও কাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বাল্য বিবাহ হলে ইমাম ও কাজির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। বাল্য বিবাহ দিয়ে মেয়েদের কে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইভটিজিং ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে বাল্য বিবাহ হচ্ছে। এবিষয়ে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। বুধবার দুপুরে কোটচাঁদপুর মডেল থানার আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে এইসব কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, জেলার অন্য সব সরকারি অফিস থেকে বর্তমান জেলা পুলিশ অনেক সচ্ছ। আগামী ইউপি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচিত করবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যপারে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

“পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে পারিবারিক সহিংসতা, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, আত্মহত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে আলোচনা করা হয়। কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওপনে হাউজ ডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাঁদপুর সার্কেল) মোহাইমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি। থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর ইমরান আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকি, পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক ফারজেল হোসেন মন্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান নওশের আলী নাসির, আব্দুল মতিন প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আব্দুল মান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন, আব্দুর হান্নান সহ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।