মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন কোটচাঁদপুরের কলেজ ছাত্র রিয়াল হোসেন (২০) ও এনজিও কর্মী মামুন হোসেন (৩৫)। শনিবার সকালে যশোর সড়কের চুরামনকাঠি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ছাত্র রিয়াল হোসেন মারা যান এবং এনজিও কর্মী মামুন হোসেন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উভয়ের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাশিপুর গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিয়াল হোসেন কাশিপুর গ্রামের ঈমান উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি যশোর এম.এম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মামুন হোসেন ওই গ্রামের শামসুল মণ্ডলের ছেলে এবং যশোরে শিশু ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। সম্পর্কে তারা শ্যালক ও বোনাই।
শনিবার সকালে দুইজন মিলে মোটরসাইকেলে করে যশোর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চুরামনকাঠি এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মামুনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং রিয়ালকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
খুলনা নেওয়ার পথে রিয়াল মারা গেলে তাকে কোটচাঁদপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অপরদিকে মামুন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রিয়াল ছিলেন পরিবারের একমাত্র পুত্রসন্তান। তার আরও দুটি বোন রয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সহপাঠী, স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোক প্রকাশ করতে কাশিপুর গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন।
কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর হাসপাতালে যায় এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে