কোটচাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শনিবার সকাল ১১টায় কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, “আমি আপনাদেরই সন্তান। ১৯৮৬ সালে মহেশপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। আমি একজন কূটনীতিক। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
২০২০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পরপর তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। ফ্যাসিবাদী আমলে ডিবি অফিসে চারদিন রিমান্ডসহ কারাভোগ করেছি। আমি মহেশপুর উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি যদি দলের মনোনয়ন পাই, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। দলের বাইরে কোনো নির্বাচন করার মনোভাব নেই।
তিনি আরও বলেন, “যদি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হই, তাহলে অবহেলিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করবো। খাদ্য, বসবাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেব। কোনো দূর্নীতি, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
আমার পিতা একজন পৌরসভার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমি আদর্শ পিতার সন্তান। আমার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, একজনের ব্যারিস্টারি পড়া শেষ পর্যায়ে। আমি দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে। আমার সন্তানও পিতার আদর্শে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করবে, ইনশাআল্লাহ। এখানে অনেকেই দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। আমি যদি দলের মনোনয়ন না পাই, তাহলে যিনি পাবেন, তার পক্ষে কাজ করবো।”