
স্ত্রীর অধিকার চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী শেফালী খাতুন। বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। শেফালী খাতুন স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডপাড়া এলাকার মতিয়ার রহমানের মেয়ে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি কোটচাঁদপুর মিনার ডেকোরেটরে রান্নার কাজ করি। সেই সুবাদে সাকিলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সে নিয়মিত আমার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি তখন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাকিল স্থানীয় একটি মসজিদের হুজুর ডেকে এনে আমাকে বিয়ে করে। এরপর প্রায় ৮-৯ মাস আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করি। এ সময় সে আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়। পরে ধীরে ধীরে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
শেফালী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি আমি স্ত্রী পরিচয় নিয়ে তার বাড়িতে গেলে সাকিল ও তার মা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর কেউ জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে তার স্ত্রী বলে অস্বীকার করতে থাকে।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় এক কাউন্সিলর বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় আমি আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। আপনারা ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরুন, যাতে দেশের মানুষ জানতে পারে।
শেফালী খাতুন বলেন, হয় সাকিল আমাকে স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা দিয়ে সঙ্গে রাখবে, নতুবা আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ফেরত দেবে। তা না হলে আমি আদালতে মামলা করবো।
তিনি আরও জানান, তার বয়স ৩০ বছর। তিনি পেশায় একজন রান্নার কর্মী এবং এক সন্তানের জননী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাকিল হোসেন বলেন, শেফালির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা বা মালামাল নিইনি। তার আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
সাকিল আহম্মেদ কোটচাঁদপুর পৌর শহরের পশু হাসপাতালপাড়া এলাকার পিরু আহম্মেদের ছেলে। তিনি কোটচাঁদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।