
বিএড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) এর জাল সনদ দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে অতিরিক্ত বেতন নিচ্ছেন পাঁচ শিক্ষক। এতে সরকারের তহবিল থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বেশি নিয়েছেন তারা।
এ কাণ্ডের অভিযুক্তরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলারা পারভীন , সহকারী শিক্ষক নার্গিস খাতুন, সহকারী শিক্ষক জাহানারা খাতুন এবং সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খাতুন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সদর উপজেলার এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপি ভুক্ত হয়। ওই সময় থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড পাশের জাল সনদ দেখিয়ে তারা উচ্চতর স্কেলে বেতন নিচ্ছেন।
বিএড বাদে চার শিক্ষকের মূল বেতন স্কেল হওয়ার কথা ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল হওয়ার কথা ১৬৮০০ টাকা কিন্তু সহকারী ওই চার শিক্ষক ১৬ হাজার টাকা স্কেল এবং প্রধান শিক্ষক বাইশ হাজার টাকায় স্কুলের বেতন নিচ্ছেন।
আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যশোর কেন্দ্র ব্যাচেলার অফ এডুকেশন অনলাইন ভার্সন মাধ্যমে বশিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলারা পারভিন, সহকারী শিক্ষক নার্গিস খাতুন, ফিরোজা খাতুন ও জাহানারা খাতুন যশোর টিটিসি থেকে এখনো অধ্যয়ন করছেন এবং তাদের ১ম সেমিস্টার সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আখি তারা খাতুন জাল সনদ দিয়ে চাকরির নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের করা মামলায় দুই মাস জেল খেটেছেন। এবং ওই দুই মাস স্কুলের হাজিরা খাতায় তার অনুপস্থিত থা্কলেও তাকে প্রধান শিক্ষক ওই দুই মাস বেতন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সাথে যোগাযোগ করা হলো তাঁকে ফোন পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, জাল সনদ দেখিয়ে উচ্চতর বেতন স্কেল নিয়ে বেশি বেতন নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ । এ বিষয়ে তদন্ত করে যদি প্রমাণিত হয় , তবে তাদের নেওয়া অতিরিক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।