
ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শেরপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইন্টারমিডিয়েটের কোনো শিক্ষার্থী কলেজে স্মার্টফোন নিয়ে প্রবেশও করতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার থেকে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে শেরপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন কলেজের মূল ফটকে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও ফোন চেকিং করে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
ক্লাসের প্রথম দিন কয়েকজন শিক্ষার্থী স্মার্টফোন নিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও সেসব ফোন গেটেই জমা রাখা হয় এবং তাদের কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
গতকাল সোমবার শেরপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রউফ ঘোষণা দিয়েছেন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কলেজে স্মার্টফোন বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা সাধারণ বাটন ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ কলেজ গেটে শিক্ষার্থীদের ফোন চেকিং করা হয়।
কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, স্মার্টফোন বহন বা ব্যবহার নিয়মিত হলে তা জব্দ করা হবে। কিন্তু জরুরি যোগাযোগের জন্য বাটন ফোন ব্যবহার অনুমোদিত। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও মনোযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে নেওয়া একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
মোস্তাফিজুর রহমান নামে শহরের চকবাজার এলাকায় বসবাসকারী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, কলেজে স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি খুবই যৌক্তিক হয়েছে। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাই।
রাজু মিয়া নামে সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা আরেক অভিভাবক জানান, কলেজে অবস্থানকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের কোনো প্রয়োজন নেই। বাসায় কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগে জন্য বাট ফোনই যথেষ্ট। বরং কলেজে স্মার্টফোন নিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অলস আড্ডা হবে, এতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হবে।
কলেজের স্যারেররা এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হবে এবং শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের একাডেমিক দক্ষতা বৃদ্ধি করুক। শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই কলেজ ক্যাম্পাসে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
সূত্র: কালের কন্ঠ