ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শুভেচ্ছাদূত হলেন তামিম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে ব্যক্তিগতভাবে নানা উপায়ে দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। এবার বৃহৎ পরিসরে তাদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলেন তিনি।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ‘ন্যাশনাল গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এ নিয়ে দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে জাতিসংঘের কোনো অঙ্গসংঠনের শুভেচ্ছাদূত হলেন তামিম। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ইউনিসেফের হয়ে এ সম্মান লাভ করেন।

দারুণ এ খবরটি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দিয়েছেন তামিম। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমি জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি’র জাতীয় গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী অনেকের জীবনকেই আরও বেশি সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করার আশা রাখি, যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমন সব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ১৯৭৪ সাল থেকেই বাংলাদেশে কাজ করে আসছে। এখন পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে তারা। ২০১৯ সালে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।

ডব্লিউএফপি’র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যা দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় বিদ্যমান। যেমন-স্কুলে খাদ্যপ্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার কাজ করে তারা। পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়েও কাজ করে থাকে। সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তা তুলে ধরবেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার।

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগানও তাকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, তামিম একজন সফল ক্রিকেটার। সে দেশে-বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তার রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। ডব্লিউএফপি পরিবারে তাকে পেয়ে ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত। সূত্র-যুগান্তর