ক্ষেতের জমিতেই কৃত্তিম পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন মেহেরপুরের কৃষকরা

পানির অভাবে ক্ষেতেই কৃত্তিম উপায়ে পাট জাগ দিচ্ছেন মেহেরপুরের পাট চাষীরা।

টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এলাকার খাল-বিল ও পুকুরগুলো এখন পানি শুণ্য। ভৈরব, সরস্বতি, কাজলাসহ বিভিন্ন খাল বিলগুলোতে পানি থাকলেও পাট জাগা দেয়া নিয়ে সেখানে সরকারী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এলাকার হাজার হাজার পাট চাষী তাদের পাট জাগ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কাথুলি সড়কের উজুলপুর, কুলবাড়িয়া, শ্যামপুর, আলমপুর, নোনাপাড়া, মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা, আনন্দবাস, বাগোয়ান, পুরন্দরপুর, মোনাখালি, গাংনী উপজেলার চেংগাড়া, বাওট, মটমুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের পাট চাষীরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। তারা এখন পাট জাগ দিতে না পেরে পাটের জমিতেই আটি বেঁধে তার উপর মাটি রেখে পানি দিয়ে কৃত্তিম উপায়ে পাট পচাচ্ছেন।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবছর প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের কৃষক ওয়াসিম শেখ বলেন, দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। জমির পাশে সরকারি খাল থাকা সত্তেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে পাট জাগ দিতে পারিনি। তাই, পাট কেটে গাড়িতে করে বয়ে নিয়ে পাশের গ্রাম নাজিরাকোনাতে চাষের জমি গর্ত করে সেখানে জাগ দিতে হয়েছে। এতে করে ভোগান্তির পাশাপাশি পাটের উৎপাদন ব্যায় বেড়েছে।

আনন্দবাস গ্রামের কৃষক আলাউদ্দীন বলেন, আমার ২ বিঘা জিমিতে পাটের চাষ আছে। এবার পানির অভাবে কোথাও পাট জাগ দিতে পারিনি। পানির জন্য পাট জাগ দিতে এলাকার কৃষকদের মাঝে হাহাকার তৈরী হয়েছে।এলাকার কৃষকরা নিজ জমিতে গর্ত করে সেখানে পাট জাগ দিচ্ছেন।

গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক খোকন আলী ও আলী হোসেন বলেন, পাটকে আমাদের দেশে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাটের সেই সোনালী সময় ফেরাতে পাট চাষ করছেন কৃষকরা। অথচ, সেই কৃষকদের সরকারী খাল-বিলে বা জলাশয়ে পাট জাগ দিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন প্রশাসন। তাহলে কৃষকরা পাট নিয়ে যাবেন কোথায়?