গাঁজাসহ চতুর্থদফায় র‌্যাবের হাতে আটক মাদক সম্রাট মিন্টু

ঝিনাইদহ পশ্চিমাঞ্চলের কুখ্যাত মাদক সম্রাট মিন্টু সাড়ে তিন কেজি গাঁজাসহ ঝিনাইদহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের তিন রাস্তার মোড় থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। এই নিয়ে সে মাদকসহ চারবার গ্রেফতার হলো। মিন্টু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের সানোয়ার ওরফে মনার ছেলে। ঝিনাইদহ র‌্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। র‌্যাব জানায় মিন্টু সাড়ে তিন কেজি গাজা নিয়ে দশমাইল থেকে খাড়াগোদা ভায়া জীবনা সড়কে অপেক্ষা করছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে র‌্যাব মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে স্পট থেকেই মিন্টুকে আটক করে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের ভেটরিনারি কলেজের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মিন্টুকে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছিল। জামিনে বের হয়ে সে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতিপুর্বে মিন্টু দশমাইল গরুহাটের একটি দোকান থেকে গাজাসহ র‌্যাব-৬ এর হাতে আরেকবার আটক হয়। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো সে মাদক ব্যবসা শুরু করে। এলাকাবাসির অভিযোগ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কিন্তু গ্রেফতারের পর বেশিদিন মিন্টুকে জেলে থাকতে হয় না। রহস্যজনক ভাবে দ্রুত সে বেরিয়ে আসে। গ্রামবাসি জানায় জীবনা গ্রামের বিলের ধরে রয়েছে তার বাগানবাড়ি। সেখানে নিয়মিত মাদকের আড্ডা বসে। জীবনা বিলের ধারে রয়েছে তার অসামাজিক কার্যকলাপের ডেরা। বাইরে থেকে নারী নিয়ে সেখানে ফুর্তি করা হয়। চুয়াডাঙ্গার জীবনা, দশমাইল, সদরের বংকিরা, গোবিন্দপুর, হাজরা ও চোরকোল গ্রামে মাদক বিক্রি করে যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে এই মিন্টু। বারবার গ্রেফতারের পর অল্প সময়ে বেরিয়ে আসায় ক্ষুদ্ধ তার গ্রামের মানুষ।