গাংনীতে অনুমোদনহীন ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

গাংনীতে অনুমোদনহীন ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স ও অনুমোদন ব্যতিত আইসক্রিম, ললিপপ, আইস ড্রিংকস তৈরি করার অপরাধে আইকন ফুড এন্ড বেভারেজের মালিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার।

আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে গাংনী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব মো: মশিউর রহমান , কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: জিবরাইল হোসেন ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম অংশ নেন।

সজল আহমেদ জানান, মেসার্স আইকন ফুড এন্ড বেভারেজ নামক একটি আইসক্রিম, আইস ললি ও আইস ড্রিংকস তৈরিকারি প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে দেখা যায় যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন ব্যাতিত বিভিন্ন নিম্নমানের অননুমোদিত কৃত্রিম রঙ, ফ্লেভার, কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে নানা প্রকার আইসক্রিম ও আইস ললি, হাই স্পিড, সেভেন আপ, রোবো, রোবোটসহ নানা নামে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য ড্রিংকস পানীয়। কেমিক্যাল ব্যবহার করলেও নেই কোন কেমিস্ট বা ল্যাব। উৎপাদিত এসব পণ্যের মানা হচ্ছেনা কোন মোড়কীকরণ বিধি। অননুমোদিত ক্ষতিকর রঙ ও ফ্লেভার দিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি বাচ্চাদের প্রিয় এসব পণ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

তিনি আরও জানান, প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা এবং এসব পণ্য মেহেরপুরের হাড়াভাংগা গ্রামে তৈরি হলেও মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হচ্ছে ঢাকা-বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ-বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা-বাংলাদেশ, বি-বাড়িয়া বাংলাদেশ, টংগী, গাজিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার নাম লেখা প্যাকেট সমূহে।

এ সমস্ত অপরাধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো: লিখন আলীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪২ ও ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ লাইসেন্স ও অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।