মেহেরপুরের গাংনীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলার গোপালনগর গ্রামের লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কের পাশে সাবেক কাস্টম অফিসার আতাউল হকের পুকুর থেকে দিনে এবং রাতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে একটি ফসলি জমিতে জমা করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ভারী ড্রাম ট্রাকে বালি বহন করে নিয়ে যাওয়ার ফলে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় অপরাধীরা শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।স্থানীয় নুরুল ইসলামের সহোযোগিতায় গাড়াডোব গ্রামের প্রভাবশালী রহিম সেখানে কিছু পেটোয়া বাহিনী দিয়ে অবৈধভাবে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে জমা করে রাখা হয়েছে। এখন সেগুলো ভারী গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যার ফলে সড়কটি মারাত্মকভাবে ভেঙে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা নীরব রয়েছেন। প্রশাসন থেকেও কোন ধরণের প্রতিকার পাচ্ছে না তারা।
নওশাদ আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের ফসলি জমি ও বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলছে না।
আসাদুল ইসলাম নামের আরেকজন কৃষক জানান, আমার জমির কিছুটা দূরেই এই বালু তোলার কাজ হয়েছে এখন আমার জমিটাও ভাঙ্গনের মুখে। যারা বালু তুলছে তারা ক্ষমতাবান হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনি। সেজন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তবে এখনো কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বালু উত্তোলনকারীরা কথা বলতে রাজি হননি।
গাংনীর এলজিইডি প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান বলেন, শুনেছি সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ভূমিকর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হবে।