গাংনীতে উপজেলা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ও রাজাকারপুত্র কমিটিতে পদ পেয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নবগঠিত ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারি মাদকসেবী ও বিএনপি জামাত ও রাজাকারপুত্রদের নিয়ে গঠনকৃত কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী উপজেলার শহিদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও পদ বঞ্চিত উপজেলা ছাত্রলীগ । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি ইমরান হাবিব।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনীতে বিএনপি জামাত থেকে অনুপ্রবেশকারি এবং রাজাকার পুত্রকে উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে ইমরান হাবিব বলেন, সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মিলন মেলা ঘটিয়ে সম্মেলন সফল করার জন্য সকল প্রকার প্রস্ততুতি সম্পন্ন করেন। জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মতিতে দিন ক্ষণ নির্ধারণ হয়েছিল। তখন একটি অশুভ চক্র হঠাৎকরে এ সমম্মেলন স্থগীত করে দেয়।

বর্তমান সরকার যেখানে দেশকে মাদক,দুর্নীতি,অনুপ্রবেশ কারি,হাইব্রেড,রাজাকার ও ফ্রিডমপ্রার্টির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দেশকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। তখন আমরাও অনেক আশাবাদি ছিলাম গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের উপস্থিতিতে  র্নীতিবাজ,মাদকাসক্ত,রাজাকার ও ফ্রিডমপার্টি মুক্ত যোগ্য নেতা নির্বাচিত হবে।

কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাবেক ছাত্রনেতাদের ঢাকায় মিলন মেলা সফল করার লক্ষে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা যখন ব্যাস্ত তখন সম্পুর্ন অগঠনতান্ত্রিক ভাবে অর্থের বিনিময়ে রাতের আধারে ঢাকায় বসে বাংদেশ ছাত্রলীগের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুলএ্কটি পকেট কমিটির অনুমোদন দেয়।

পকেট কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু,পিতা জমিরুদ্দীন গ্রাম শিশিরপাড়া। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন চিহ্ণত রাজাকার হিসেবে কাজ করেছেন। হত্যা,ধর্ষন,অগ্নীসংযোগ থেকে শুরু করে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। যার স্বাক্ষি হিসেবে এখনও জীবীত মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান আছেন।

তিনি অরো বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক শক্তির উপর ভিত্তি করে ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের উত্তরাধীকারীরা জায়গা পাওয়ায় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সৈনিকেরা মেনে নিতে না পারায় উক্ত কমিটি প্রকাশ করার পর থেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কজর্মীরা।

নবগঠিত কমিটি বাতিল করে গঠনতান্ত্রিক ভাবে কাউন্সিলর ডেলিগেট,নির্বাচন না করা পর্যন্ত পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

এসময় স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি,আমারত উল্লাহ,মোজাম্মেল হক,নিজামুল হক,তাহাজ উদ্দিন পাতান আলী ও গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।