গাংনীতে কি মধু পেয়েছেন জাকির হোসেন?

এম এফ রুপক
মেহেরপুরের গাংনী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরি করেন জাকির হোসেন। একই পদে একই স্থানে কর্মরত আছেন বেশ কয়েক বছর। বদলীর চিঠি আসে যায়, কিন্তু জাকির হোসেন গাংনীতেই থেকে যান।

২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর, গাংনী পিআইও অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। ইতোমধ্যে একাধিকবার এসেছে বদলির আদেশ। নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে ইতোমধ্যে একাধিকবার সংবাদ পত্রের শিরোনামও হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ২০২০ সালের নভেম্বরের ১৯, তারিখে জাকির হোসেনকে পুনরায় বদলী করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্প পরিচালকের সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়। আদেশে জাকির হোসেন কে গাংনী পিআইও অফিস থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে বদলি করা হয়। কিন্তু আদেশ অমান্য করে বিভিন্ন উপর মহলে স্টে অর্ডারের জন্য জোর তদবির শুরু করেছেন, যাতে তিনি আবারো গাংনীতে থাকতে পারেন।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে, অনিয়ম দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাওয়া জাকির হোসেন, গাংনীতে গড়েছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। পিআইও অফিসের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের বিনিময়ে ঠিকাদারদের সাথে অবৈধ লেনদেন আছে জাকিরের। সেক্ষেত্রে ঠিকাদাররা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলেও জাকিরের কাছ থেকে পেয়ে যান গ্রিন সিগনাল।

এজন্য ঠিকাদারদেরও চোখের মনি জাকির হোসেন। সম্প্রতি বিদায় নেওয়া ২০২০ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন জাকির হোসেন। বিষয়টি কতৃপক্ষের নজরে আসলে জাকির হোসেনকে বদলির অঅদেশ দেন। কিন্তু সে আদেশও তিনি বিভিন্ন কায়দা কৌশল খাঠিয়ে স্থগিত কের নিয়ে আসেন। নতুন করে বদলির আদেশটিও স্থগিত করার পায়তারা করছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়াও জাকিরের বদলি আটকাতে পিআইও নিরঞ্জন চক্রবর্তিও সুপারিশ করছেন বিভিন্ন জায়গায়। এ বিষয়ে জানতে গাংনী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তীর কাছে একধিকবার যাওয়া হলেও তিনি সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভোগান্তিতে ফেলেন পিআইও। সপ্তাহ খানেক পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ এর হস্তক্ষেপে তথ্য দেন পিআইও নিরঞ্জন চক্রবর্তী।

বদলি স্থগিত করার পায়তারার বিষয়টি অস্বীকার করে জাকির হোসেন জানান, চাকরি করছি যেতে তো হবেই। দেখা যাক সপ্তাহ খানেক।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, আমি শুনেছি জাকির হোসেন বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন বদলি স্টে করার জন্য। কিন্তু এখনো পারেননি। পিআইও নিরাঞ্জন চক্রবর্তির তথ্য দিতে না চাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ তথ্য তো না দেওয়ার কিছু নেই। আমি বিষয়টি দেখছি।