গাংনীতে কোরবানি পশু হিসেবে ছাগলের চাহিদা দ্বিগুণ

গাংনীতে কোরবানি পশু হিসেবে ছাগলের চাহিদা দ্বিগুণ

মাত্র কয়েক দিন বাদেই আসছে ঈদুল আজহা।ঈদকে ঘিরে গাংনীতে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। পশুর হাটগুলোতে ছাগল, গরু, ভেড়া, মহিষ নিয়ে আসছেন বেপারীরা কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ছাগল ও গরুর চাহিদা সবসময় বেশি। তবে গাংনীর বাজারে কোরবানির পশু হিসেবে গরুর চেয়ে দ্বিগুণ চাহিদা রয়েছে ছাগলের। পশু হাটগুলোতে ছাগলের আমদানি এবং কেনাবেচাও বেশি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে গাংনী উপজেলায় ৯৩ হাজার ৯১৪টি ছাগল রয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু উৎপাদন করা হয় গাংনীতে। তাই এ উপজেলার ছাগল ও গরুর প্রচুর চাহিদা দেশের বাজারে রয়েছে। স্থানীয় হাটগুলোতে কোরবানিযোগ্য একেকটি ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় ছাগলের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এ অঞ্চলের ছাগল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সাধারণত যারা কম টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে চান এবং ছোট পরিবারে কোরবানি দেন তাদের পছন্দ তালিকায় শীর্ষে থাকে ছাগল। এছাড়াও ঈদের সময়ে ঔষধ কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করার আশঙ্কা থেকেও অনেকেই কোরবানির পশু হিসেবে ছাগল বেছে নেয়।

গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল হামিদ পারিবারিক ভাবে ৫টি ছাগল লালনপালন করেছেন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। তিনি বলেন, আমি গতবছর থেকে এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ছাগলগুলো লালনপালন করেছি; সম্পুর্ন নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়েছি। কাঁচা ঘাস, বিচালি, ভুট্টা ও ছোলা মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়াতাম। এখন একেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ১৭ হাজার করে। আরেকটা বড় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে যার দাম চেয়েছি ২৬ হাজার টাকা।

একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শামীম রেজা বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবছর ২টি করে ছাগল পালন করি। ঈদ সামনে বিক্রি করি। এবারের ঈদ সামনে একটি ছাগল বিক্রি করেছি ২৩ হাজার টাকায়। আরেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ৩৪ হাজার টাকা। আশানুরূপ দাম পেলেই বিক্রি করে দিবো।

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ছাগলের বেপারী সাহারুল ইসলাম বলেন, সারাবছর টুকটাক ছাগল বেচাকেনা হয়। স্থানীয় বামন্দী পশুহাটে নিয়ে গিয়ে আমরা বিক্রি করি। তবে ঈদ সামনে ছাগলের সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। গত দুই হাটে প্রচুর ছাগল আমদানি ছিলো এবং বেচাকেনা খুব ভালো হয়েছে।

বালিয়াঘাট গ্রামের ছাগলের বেপারী সৈকত আলী বলেন, হাটে গরুর চেয়ে ছাগলের দিকে মানুষের ঝুঁকি বেশি। গ্রামঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ অল্প টাকার মধ্যে কোরবানি দেয় সেজন্য ছাগলের চাহিদা বেশি। দেখা যাচ্ছে একটা গরু কিনতে সর্বনিম্ন ৪০থেকে৫০ হাজার টাকা লাগবে কিন্তু ১০থেকে১৫ হাজার টাকার মধ্যে একটা ভালো ছাগল কেনা হয়ে যায়।