
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমানের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিপাকে পড়েছেন গাংনী উপজেলা বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) প্রকৌশলীরা। বিএডিসির অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ স্থাপন ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা এলাকায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
সূত্র জানায়, কড়ইগাছি এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ঝন্টু আলী গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য কড়ইগাছি জেএল ৯৬, দাগ ৬৮৯ নম্বর জমির লাইসেন্স পান। কিন্তু লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে তিনি নলকূপ স্থাপন করেন জেএল ৯২, দাগ নম্বর ৩৬২০ নম্বর জমিতে, যা মূল অনুমোদনস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে। অভিযোগ রয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান রাতারাতি সেখানে অবৈধ সংযোগ প্রদান করেন।
এই ঘটনায় অভিযোগ হওয়ায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।
এ ঘটনায় তদন্তে যান গত ৪ ডিসেম্বর বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম ফয়সাল হোসেন, বিএডিসির ইলেক্ট্রিশিয়ান দেলওয়ার হোসেন, পল্লী বিদ্যুতের ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাইমুর হোসেন।
তদন্তের সময় ঝন্টু ও তার সহযোগীরা সরকারি কাজে বাধা প্রদান, গালিগালাজ এবং অপমানজনক আচরণ করেন। এতে দেলওয়ার হোসেন শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে বিএডিসির ইলেক্ট্রিশিয়ান দেলওয়ার হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ঝন্টু, তার ভাই রেন্টু, আব্দুল কাদের ও পিতা মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় রিপোর্ট তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
স্থানীয়রা দাবি করেন, ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমানের অনিয়মের কারণে জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রকৌশলীদের হয়রানি করা হচ্ছে। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।