গাংনীতে জমি উদ্ধারের দাবীতে দখলদারদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

গাংনীতে দখলকারিদের কাছে থেকে জমি উদ্ধারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধর্মচাকী গ্রামের শাসসুল হুদা গং।

শনিবার সকালে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, আদালত থেকে রায় পেলেও দখলদারদের নানা হুমকীতে জমির দখল পাচ্ছেন না তারা। প্রশাসনের সহযোগীতা ও আইনী ব্যবস্থাপনায় জমির মালিকানা ফিরে পেতে চান জমির প্রকৃত মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত্যব্য পাঠ করেন শামসুল হুদা। এসময় জমির মালিক শামসুল হুদা গং, প্রেসক্লাব সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রীক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শামসুল হুদা জানান, হিজলবাড়ীয় মৌজার ৩৯০ দাগে ২৪.৯০ শতক জমি মেদিনীপুর জমিদার ভুক্ত ছিল। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নামে এস.এ খতিয়ান ১ এ ১৪.৯২ শতক জমি রেকর্ড হয়ে যায়।

দেবীপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মৃত রেকাব উদ্দীন তৎকালীণ সরকারের কাছে খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদন যাচাই বাছই পূর্বক ৪৫ নং মৌজা হিজলবাড়ীয়ার ৩৯০৩ দাগের ১৪.৯২ জমির মধ্যে হইতে ৩৯০৩/১ বাটা একদাগের স্কেস ম্যাপ প্রস্তুত করে একই স্থানে ৫ একর জমি বন্দোবস্ত দেয়। বন্দোবস্তের পর রেকাব উদ্দীন নজির হোসেন, মফেজ উদ্দীন, ফাকের আলী, সাকের আলী, আঃ সাত্তার, সিরাজুলের নিকট বিক্রয় করেন। বাকী জমি আঃ আজিজ গং ও মহাসিন আলীর নিকট বিক্রয় করেন। অবশিষ্ট ০৪ শতক জমি রেকাব উদ্দীন ভোগ দখল করেন।

এদিকে শামসুল হুদার পূর্বাধিকারের জন্য খারিজের জন্য আবেদন করলে প্রতিপক্ষগন আপত্তি দিলে কেসটি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বাতিলের আদেশ দেনএবং রেকাব উদ্দীনের হোল্ডিং বহাল রাখেন। খারিজ কেসটি বাতিল হওয়ার পর শামসুল হুদা গং ১৯৮৯ সালে দেং-৮৬ নং কেস দাখিল করলে উভয় পক্ষের শুনানীর পর ২৮/১০/১৯৯১ সালে শামসুল হুদার পক্ষে রায় ও বিক্রি হয়।

পরবর্তীতে কথিত ভুমিহীন আঃ লতিব জজ আদালতে আপিল করলে মাননীয় বিচারক তিনটি আপীল একত্রে শুনানীর পর লতিব ও জনৈক শুকুরের আপিলটি মঞ্জুর হয়। এভাবে পরপর পাঁচবার প্রতিপক্ষ ও শামসুল গং উচ্চ আদালতে মামলা করলে উক্ত জমি পরবর্তীতে জনৈক আঃ কাদের ও তহুরা খাতুনকে বন্দোবস্ত দেন ভুমি অফিস। শামসুল হুদা গং উক্ত বন্দোবস্ত বাতিলের বিরুদ্ধে এবং রেকর্ড সংশোধনের জন্য পুনরায় বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী কেসটি দায়ের করলে তার পক্ষে রায়ঘোষিত হয়।

পরবর্তীতে প্রতিবাদী হিসাবে ৬৪ নং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার মেহেরপুর ৬৫ নং প্রতিবাদী হিসাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস¦) মেহেরপুর এবং ৬৬ নং প্রতিবাদী উপজেলা (রাজস¦) অফিসার গাংনী নিজ নিজ বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করার পরও কিভাবে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় ২০১৮ সালের ০৫ আগষ্ট বিবাদীগন লিটম মাহমুদ কাদের ও তহুরাদেরকে জমির দখল বুঝে দিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার(ভুমি) দেলোয়ার হোসেনকে নির্দেশ দেন যা আদালতের রায়কে অসম্মান করা হয়েছে বলে দাবী করেন নির্যাতিতরা ।

মেপ্র/আরপি