গাংনীতে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসুচী বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মুলের লক্ষ্যে ব্যপকভাবে কুকুরের টিকাদান(এমডিভি) কার্যক্রম ২০২৩ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেহেরপুরের গাংনীতে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ইউএইসএফপিও) সুপ্রভা রানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী।

জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসুচী,রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা,সিডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় ডাক্তার মুক্তার আলী জলাতঙ্ক বিষয়ক সকল তথ্য তুলে ধরেন। সভায় মেডিকেল অফিসার ডা.সুমাইয়া ইসলাম, গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দি,গাংনী উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ,উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্য সহকারিগন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন,জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি,এরোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। পৃথিবীতে কোথাও কোথাও প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতি বছওে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙাক মারা যায়। এ রোগ মুলত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও বিড়াল,শিয়াল,বেজি, বানরের আঁচড়ের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে।

বাংলাদেশে প্রতিবছরে ৫ থেকে ৬ লক্ষ মানুষ কুকুর,বিড়াল বা শিয়ালেন কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। এছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার গবাদি প্রাণী এ রোগের শিকার হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে প্রতি বছল প্রায় ২০০০ মানুষ জলাতঙ্ক আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। এবং একটি উল্লেখযোগ্য গবাদী প্রাণী এ রোগে আক্রান্তে শিকার হয়ে থাকে।

২০১৬ সালের মধ্যে জলাতংক রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ কমিয়ে আনা এবং ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বকর্মসুচী বাস্তবায়ন চলছে। এরই অর্শ হিসিবে বাংলাদেশের সকল মোট ৬৭টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং জলাতঙ্ক প্রকিরোধী টিাক বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক তথ্যে জানাগেছে,২০১০ সাল থেকে ২০১২ ইং সাল পর্যন্ত সারাদেশে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত রোগী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৪৭ থেকে ১৪৪৫ এ নেমে এসছে। এবং এ সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালেও এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যঅ পুর্বেও তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলমান এসকল কার্যক্রমের পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা চালু রেখে ব্যপক হাওে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশের সকল কুকুরকে ৩ রাউন্ড টিকা প্রদান করা গলে জলাতঙ্ক নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।