
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দী নামক স্থানে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শুকুরকান্দীর গ্যাসপাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি খাতুন (৩৫)। আহতরা হলেন- বাদিয়াপাড়া গ্রামের মফিজুল হকের স্ত্রী নোজিয়ারা খাতুন(৪০), একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে নিরব(১২), মহাব্বতপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে সিএনজি চালক হযরত আলী (৩২)।
সুমির ভাবি নোজিয়ারা খাতুন জানান, আমি অসুস্থ তাই আমাকে কুষ্টিয়ার ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলো। কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে এসে আমাদের সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা তিনজন যাত্রী ও সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন।
বামন্দী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী স্টেশন ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমি খাতুনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক হোসেন জানান, সুমি খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুমি খাতুন কে মৃত ঘোষণা করে। সেখান থেকে তার লাশ এখন বাড়ি ফেরার প্রক্রিয়া চলছে।
রাত দশটার দিকে নিহতের বাড়ি বাদিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। সকলেই লাশ ফেরার অপেক্ষায় বসে আছে।