গাংনীতে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন আশিকুর

দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে সন্তান দেখতে গিয়ে পিটুনির শিকার হয়েছেন আশিকুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি।
আশিকুর রহমান গাংনী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আশিকুর রহমান বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আশিকুর রহমান জানান, আমার প্রথম স্ত্রী একই উপজেলার সহড়তলা গ্রামের মহসিন আলীর মেয়ে কেমি খাতুন। তার সাথে পরিপর্তা না হওয়ায় প্রায় ৮ মাস পূর্বে তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি। সেখানে আমার দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি বেশ কয়েকদিন যাবৎ অসুস্থ থাকায় সন্ধ্যার দিকে আমি আমার পিতা ও স্ত্রী মিলে প্রথমে বামন্দীর একটি ক্লিনিকে যায়। সেখানে না পেয়ে সহড়াতলা গ্রামে যায়। ছেলের জন্য ঈদের কিছু পোশাকও নিয়ে গেছি। আমার বাবা ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে মহসিন আলী ও তাদের লোকজন আমার বাবাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা রাস্তার উপর ছিলাম। আমার স্ত্রীকেও মারধর শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকে মারপিট শুরু করে। পরে গ্রামের মানুষ জন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সহড়াতলা গ্রামের স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহসিন আলী অন্যায়ভাবে আশিকুর রহমান ও তার পিতা ও স্ত্রীকে মারধর করেছেন। তার ছেলেকে দেখতে এসেছে। দুর থেকে দেখিয়ে দিলেই তো হয়ে যেতো। তাদের উপর হামলা করা অন্যায় হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক জানান, আহত আশিকুর রহমানের শরীরে জামির জানান, আহতের শরীরে মারের আঘাঁত রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ১ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।