
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা শহরের প্রানকেন্দ্র বড়বাজার এলাকার নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।
ফলে গাংনী উপজেলাবাসির দুভোর্গ বেড়েছে। রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় গাংনী বড়বাজার এলাকায় ছোট বড় দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এতকিছুর পরেও রাস্তার এই অংশটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগে গ্রহণ করেনি সড়ক বিভাগ।
জানা গেছে, সড়ক বিভাগের নিজস্ব জায়গা অজ্ঞাত কারণে প্রভাবশালী মহলের কাছে রেখে জেলা পরিষদের জায়গা দখলের অপচেষ্টা করছেন সড়ক বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান।
একটি সূত্র মতে জানা গেছে, ইতোপূর্বে সড়ক বিভাগ গাংনী উপজেলা শহরের সড়ক বিভাগের উপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে মাইকিং করলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ দখলে নিয়ে চারতলা বিল্ডিং তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের উৎস তৈরী করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিজস্ব জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত না করে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান জেলা পরিষদকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জেলা পরিষদের জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে জায়গার মালিকানা নির্ধারণে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরে আসেন। তদন্ত টিমের প্রধান ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান, সদস্য হিসেবে ছিলেন, মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ল্যান্ড রেকর্ড এন্ড ইকুইজেশন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও মেহেরপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। এসময় গাংনী বাজারের বিশিষ্ট জন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী (এসডি) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যৌথভাবে তদন্ত করেছি। এই তদন্ত টিমের প্রধান রিপোর্ট লিখবেন। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব যৌথ পরিমাপ করে বিষয়টি চুড়ান্ত করার জন্য সুপারিশ করবেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের দাবি একটা প্লট, আর আমাদের দাবি আরেকটা প্লট। আসলে ওদের (জেলা পরিষদের) কাগজপত্র যেটা ওদের কাগজপত্র অনুযায়ী ওদের প্লট যেটা আমরা সেটা চাইনি। আমরা যেটা চাচ্ছি জেলা পরিষদ সেটা মানছেন না। এসডি মিজানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনারা নিজেদের জমি চাইলে জেলা পরিষদ মানবেনা কেনো? এব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জমি চাচ্ছি, জেলা পরিষদের আটকানোর বিষয়ও না, কিন্তু তারা যৌথ পরিমাপ করছেনা। যৌথ পরিমাপ করলেই তো বোঝা যেতো এটা আমাদের নাকি তাদের প্লট।
সড়ক বিভাগের জায়গা ফেলে রেখে জেলা পরিষদের জমিতে যেতে চাচ্ছেন কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এব্যাপারে কোনো কথা বলার এখতিয়ার আমার নেই। আমি কোনো কথা বলবোনা। এটা এখন ডিডি সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। তারা জ্যান্ডিলিংখ করছে আপনি তাদের কাছে প্রশ্ন করেন।