গাংনীতে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ইজারাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

গাংনীতে ফুটপাত থেকে প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ইজারাদার আব্দুস সামাদ ও মো. বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ বুধবার গাংনী আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়াত উল্লাহ এ আদেশ আদেশ দেন। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে, বিজ্ঞ বিচারক প্রতিবেদনে তাদের চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আ: রাজ্জাক। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ, গাংনী পৌরসভার মেয়র এবং গাংনী থানা পুলিশ গাংনী পৌরসভাধীন বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদপূর্বক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছেন।

প্রতিবেদনে ইজারাদার মো: আ: সামাদ ও মো: বাবু এর বিরুদ্ধে ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দুই ইজারাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গাংনীর ফুটপাত হকারদের দখলে উল্লেখ করে স্থানীয় একটি পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফুটপাতের হকারদের নিকট থেকে কতিপয় ব্যক্তি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করা হয় বলেও সংবাদে উল্লেখ করা হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি গাংনী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়াত উল্লার নজরে এলে তিনি স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফুটপাত দখলমুক্ত করার আদেশ জারি করেন।

আদেশে গাংনী পৌরসভার মেয়রকে ফুটপাত দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়।  উচ্ছেদ কাজে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং থানার অফিসার ইনচার্জকে সহযোগিতার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জকে উচ্ছেদের পরে পুনরায় ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। আজ প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য দিন ধার্য ছিল।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক প্রতিবেদন দাখিল করেন। শুধু হাট বারের দুই দিন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা তোলার অনুমোদন থাকলেও ইজারাদাররা প্রতিদিন ফুটপাতের এক একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করতেন বলে উল্লেখ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে আজ দুইজন ইজারাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।