মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার এনামুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত সার অতিরিক্ত দামে বিক্রী ও ক্রেতাদের সাথে অসাদাচারণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেন, বিসিআইসি ডিলার এনামুল হক প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার না দিয়ে স্থানীয় খুচরা সার ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রী করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন ।
তারা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের অনুগত আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যের নামে বেনামে প্রায় কয়েকটি ডিলারের লাইসেন্স নিয়ে কৃত্তিম সার সংকট তৈরী করছেন। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তিনি বরাদ্দকৃত সার অতিরিক্ত দামে ব্যবসায়িদের মাঝে বিক্রী করে আসছেন।
এবিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য নুরু ইসলাম বলেন, আমার এলাকার কৃষকরা সার না পেয়ে আমাকে জানান। কৃষকদের অনুরোধে সবার সম্মুখে বিসিআইসি ডিলার এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি কিসের নেতা, আপনি বিএনপি'র আমজাদ ভাই, জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আসাদুজ্জামান বাবলুকে জানান। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তার লোক আছে বলেও দম্ভোক্তি দেখান।
গাংনী উপজেলা উপসহকারী একাধিক কৃষি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার এনামুল হক তার ইচ্ছামত ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি সার বাইরে বিক্রয় করছেন এবং প্রকৃত কৃষকদের দিচ্ছেনা, এমন ঘটনায় তাকে বলতে গেলে সে আমাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে আসছে। আমরা সরকারি কর্মকর্তা এ কারণে মুখ খুলতে পারিনা।
এ ব্যাপারে ধানখোলা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি নুর ইসলামকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নুর ইসলাম অতিরিক্ত সার নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিয়েছে। সার ইউনিয়নের সাব ডিলাররা নিয়ে যায়। এছাড়া উপসহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিক্রী করা হয়। অতিরিক্ত দামে কোন সার বিক্রী করা হয় না।
ধানখোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুগিন্দা গ্রামের সাব ডিলার মফিজুল ইসলাম জানান, বিসিআইসি ডিলাররা আমাদের বরাদ্দকৃত সার সঠিক ভাবে না দিয়ে কম দেয়। কিছু সার দিলেও তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বিক্রী করতে হয়। এতে আমরাও সমস্যায় আছি। কৃষকদের চাহিদা পূরণ হয় না।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলার কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে,অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও উপসহকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার বিক্রয় করার জন্য।