
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া বড় মসজিদপাড়া এলাকায় মহিলা জামায়াত নেত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দাওয়াতি কার্যক্রম চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে মহিলা জামায়াতের দুই সদস্যা আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মহিলা জামায়াতের কয়েকজন নেত্রী এলাকায় দাওয়াতি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান (আসাদুল ইসলামের ছেলে) ও আমতৈল গ্রামের মৃত সাত্তারের ছেলে বিল চান্দ তাদের ওপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাতে থাকা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করেন। এতে হালিমা খাতুন ও জাহিরুন্নেছা নামে দুইজন মহিলা জামায়াত নেত্রী আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত হালিমা খাতুন জানান, “আজ আমাকে আঘাত করা হয়েছে, তবে দুই দিন আগেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি নিজে আমাকে গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি আমাদের দাওয়াতি কাজ বন্ধেরও নির্দেশ দেন।”
ঘটনার সময় উপস্থিত ইউনিয়ন জামায়াতের তদারককারী রমেলা খাতুন বলেন, “আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। হঠাৎ দুই মোটরসাইকেল আরোহী এসে আমাদের গালিগালাজ শুরু করে এবং বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমাদের দুইজন সদস্যা আহত হয়।”
অভিযোগের বিষয়ে ষোলটাকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনি বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। এলাকায় গোলমাল হয়েছে শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। কেউ আমার নাম ব্যবহার করে কিছু করলে আমার করার কিছু নেই। পরে আমি মহিলা নেত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং যারা এ কাজ করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, “খবর পাওয়ার পর হেমায়েতপুর ক্যাম্পের ইনচার্জকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”