গাংনীতে সবজী বাজারে আগুন

মেহেরপুরের গাংনীতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও সখবর নেই অন্য সব শীতের সবজির।

গত সপ্তাহে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বাজার মনিটরিং এর পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য তরকারির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে এখনও।

শুক্রবার (২৯-১১-২০১৯) বাজার ঘুরে দেখা যায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১শ’৮০ টাকা গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ২শ’ থেকে ২শ’১০ টাকা।

তাছাড়া শীতের নতুন সবজি বাজারে আসার সাথে সাথে দাম কমার কথা থাকলেও নতুন আলু কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে ৬০ টাকা করে এদিকে পুরাতন আলু বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি।

রশুন বিক্রয় হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই যার কেজি ১শ’৮০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ৪০ টাকা করে যা গত সপ্তাহে দাম ছিল কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। শীতের আরেক নতুন সবজি গাজর বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে।

শীত মৌসুমে শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু করলে তার দাম কমতে থাকে অথচ বাস্তবতা ভিন্ন।

ক্রেতারা তাদের বাজারের বাজেট পরিকল্পনা করে আশানুরুপভাবে পন্য ক্রয় করতে না পেরে যতটুকু সম্ভব ততটুকু ক্রয় করছেন।

একজন ক্রেতা মেমেহরপুর প্রতিদিনকে বলেন, বাজারে তরিতরকারির দাম বাড়লেও আমাদের বেতন বা উপার্জন বাড়ছেনা। তরিতরকারি দামের কাছে আমাদের উপার্জন অসহায় হয়ে পড়েছে।

সবজি বিক্রেতা মন্টু জানান, কয়েক সপ্তাহ পর নতুন সবজি সহ পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে।

এদিকে দেশী মুরগির দামও গত সপ্তাহের মতোই ৩শ’৭০ থেকে ৩শ’৮০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১শ’১০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে যা গত সপ্তাহে একই দাম ছিল।

এদিকে সোনালি ও পাকিস্তানি মুরগি বিক্রয় হচ্ছে ২শ’১০ টাকা প্রতি কেজি আগের সপ্তাহে দাম একই ছিল।
তবে সুখবর নেই মুদিও মালামালে।

মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে তরকারির নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিসের দাম প্রায় প্রতিটির দামই কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সোয়াবিন তেল গত সপ্তাহে লিটার প্রতি বিক্রয় হয়েছে ৮৫ টাকা করে তার দাম বেড়ে এখন বিক্রয় হচ্ছে প্রতি লিটার ৯২ থেকে ৯৫ টাকা করে।

এলাচি বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৪ হাজার টাকা করে। এদিকে মসুরি ডাল গত সপ্তাহে ছিল প্রতি কেজি ১শ’১০ টাকা এর দাম বেড়ে চলতি সপ্তাহে বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১শ’২০ টাকা করে।

শীত মৌসুমে কখনও কলাইয়ের ডালের দাম বাড়তে দেখা যায়নি বলে মুদি ব্যবসায়ি বাবু জানান। তিনি বলেন কলাইয়ের ডাল শীতের সময় কম হওয়ার কথা অথচ এর দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

গত সপ্তাহে কলাই ডালের দাম ছিল ৯৬ থেকে ১শ টাকা কেজি কিন্তু এখন বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১শ’১০টাকা করে। মুগডাল ছিল কেজি প্রতি ১শ’৪০ টাকা এ সপ্তাহে দাম বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ১শ’৫০ টাকা করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক খুচরা ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের জানান, আমরা যে মহাজনের নিকট থেকে মালামাল ক্রয় করে থাকি তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে মাল থাকলেও বিক্রয় করার মানসিকতা কম।

কারণ এর আগে তারাই আমাদের মালামাল ক্রয়ের জন্য তাগাদা দিত এখন আমাদেরই তাগাদা দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হয় তারপরও তাদের আগ্রহ কম দেখা যায়।

তরকারি বাজারে শুধু মাত্র পেঁয়াজ সিন্ডিকেটকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেও অন্যান্য পণ্যের দামে লাগাম দিতে পারেনি।

ক্রেতা সাধারণ মনে করছে তরকারি বাজারেও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি থাকতে পারে। কারণ এর আগে দু’পঁচ বছরের মধ্যে কখনও তরকারির বাজার অস্থিতিশীল হতে দেখা যায়নি।

বাজার অস্থিতিশীল কারি অসাধু ব্যবসায়ীদেরদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন ভুক্তোভোগি ও সচেতন মহল।

-গাংনী প্রতিনিধি