গাংনীতে সরকারি আর্দেশ উপেক্ষা করে রড-সিমেন্টের দোকান খোলা

মেহেরপুরের গাংনী বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা সরকারি লকডাউন মেনে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে রয়েছে। সেখানে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে গাংনী বাজারের মেসার্স ট্রেডার্স হার্ডওয়ারের মালিক নাসির উদ্দিন প্রতিদিন দোকান খুলে লকডাউনের মধ্যেই চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। ফলে অন্য ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশাসনের “কঠোর অবস্থানের” কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যশোর, ঢাকা ও চট্ট্রগ্রাম জেলা থেকে ট্রাকের মাধ্যমে টন টন রড আসছে গাংনীতে। সেই সাথে আসছে বাহিরে কর্মরত মানুষ। যার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আশংকা রয়েছে। সেই রড খোলা বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করছে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।

কেবল রডই নয়, ইট, সিমেন্ট, টিন, লোহালক্কড় এমনকি টাইলস সহ বহু পণ্যের দোকানও গোপনে খোলা রয়েছে গাংনীতে। মেহেরপুরের গাংনী বাজারের কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের পাশে বসুন্ধরা পাড়া সংলগ্ন এলাকায় লকডাউন ঘোষণার পর থেকে দোকান খুলে রড সিমেন্ট বিক্রয় করছে মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেডার্স হার্ডওয়ার এর মালিক নাসির উদ্দিন।

বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনীর টহল, পুলিশের তৎপরতা সর্বোপরি সরকারি নিষেধাজ্ঞা, সবকিছু উপেক্ষা করেই এক রকম বিনা বাধায় রমরমা ব্যবসা করে আসছেন নাসির উদ্দিন। প্রকাশ্যে রড, সিমেন্ট, বিক্রি করলেও লকডাউনের অজুহাতে এসব পণ্যের দামও রাখছেন বাড়তি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় গাংনী বাজারের কয়েকজন রড ব্যবসায়ী জানান, আমরা সরকারি নির্দেশ মোতাবেক দোকান বন্ধ করে বাড়িতে বসে আছি। লকডাউন যেন আমাদের ওপরই এককভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে আমরা ঘরে আছি। অথচ গাংনী বাজারের ব্রাদার্স ট্রেডার্সের মালিক নাসির উদ্দিন সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিদিন দোকান খোলা রেখে একা ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। তার বিষয়ে প্রশাসন একেবারে নিরব।

সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপন জারি করে চাল, ডাল, কাঁচামালের মতো জরুরি নিত্য পণ্যের দোকান সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার আদেশ দেয়। সমালোচনার মুখে সেই সময় সীমা আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলেও লকডাউনের এ পরিস্থিতিতে রড সিমেন্টের ব্যবসা কি করে চলে। প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।

এব্যাপারে মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেডার্সের মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, আমার দোকানে তিনজন লেবার রয়েছে। ব্যবসা না করলে তাদের বেতন দেবো কী করে? অন্য দোকান বন্ধ রয়েছে এমন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোপনে তারাও ব্যবসা করছে। আমার দোকানের সামনে দিয়ে প্রতিদিন প্রশাসন চলাফেরা করে আমাকে কেউ নিষেধ করেনি। আপনারা সাংবাদিক ছবি তুলছেন কেন।

এব্যাপারে গাংনী থানার (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, কেউ যদি সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে গাংনী বাজারে দোকান খোলা রাখে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূবক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, তিনি ।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফির্সার দিলারা রহমান বলেন, গাংনী উপজেলার সকল ব্যবসায়ীদের সরকারি নিদের্শ মোতাবেক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ যদি সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখে তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।