
নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণে অসহযোগিতা করা ও পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। গতকাল বুধবার দুপরে গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নোটিশ প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার মিত্র স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে অসহযোগিতা করা ও পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদানের কারণে তাদের কেনো শাস্তি দেওয়া হবে না তা ৩ কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হলেন, পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুল, তেরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিউল ইসলাম, কুলবাড়িয়া হারেস উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানভীর কবীর, হিজলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিম আহমেদ, বেতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাবনী খাতুন, এলাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসান আলী, করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল, ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা পারভীন।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল বলেন, আমি কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি। প্রতিটি বিদ্যালয়েই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় বাধা প্রদানের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি শিক্ষক নেতা হিসেবে প্রথম থেকেই সহকারী শিক্ষকদের বুঝিয়ে বার বার বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত যেদিন উপজেলার মধ্যে শিক্ষকগণ অবস্থান করছিলেন সেদিন আমি শিক্ষকদের বোঝাতে গিয়েছিলাম কিন্তু কে বা কারা মানববন্ধন বলে প্রচার করেছে। আসলে সেখানে কোনো মানববন্ধন হয়নি।


