গাংনীতে সরকারী খাল বাধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ

গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া ও মেহেরপুর সদরের কালিগাংনী দুই গ্রামের মাঝ বরাবর একটি বিলের পানি চলাচলের খাল বাধ দিয়ে অনেক চাষীর জমি তাদের অনুমতি না নিয়ে ঘিরে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলেন। ভুক্তভোগী চাষীদের অভিযোগে পরিদর্শন করেন গাংনী থানার এসিল্যান্ড ইয়ানুর রহমান ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান।

স্থানীয় চাষীদের সাথে কথা বল্লে তারা জানান তাদের না জানিয়ে ক্ষমতার জোরে জমি দখল নিয়ে সরকারী খাল আটকিয়ে মাছ চাষ করছেন।এতে আমাদের ৫০০ বিঘার অধিক জমি জলাবদ্ধতায় আছে।এবং অনেক আবাদি জমিতেও আবাদ হচ্ছে না।ফলে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।মাছ চাষ কারীদের মধ্য বানিআমিনের সাথে কথা বল্লে জানান ামারা মাঠের ১৫০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে আসি।

এখানে সুধু ৩ টি জমির মালিক আমাদের জমি দেয় নি। তাছাড়া এসময় এখানে আবাদ হয় না। তাই মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নিই এবং যাদের সাথে জমি নিয়েছি তাদের স্ট্যাম্পে সই আছে। পরবর্তী তে স্বাক্ষরকৃত স্ট্যাম্প দেখতে চাইলে দেখাতে পারেন নি।

এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান আমার কাছে গিয়েছিলো মাছ চাষ কারীরা আমি বলেছি জমির মালিকদের সাথে অনুমতি নিয়ে তাদের সাথে সমন্বয় করে তারা যদি বলে তাহলে করবেন নয়তো না। একজন মালিক যদি বলেন আমি দিবো না তাহলে এ কাজ হবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান এরা যে বেড়াটা দিয়েছে তাতে করে পানি আটকিয়ে নেই এবং জলাবদ্ধতার কোন সমস্যা হচ্ছে না।তবে জমির মালিকদের অনুমতি না নিয়ে মাছ চাষ করাটা অন্যায়।এবং তাদের অনুমতি ছাড়া মাছ চাষ করা যাবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে গাংনী থানার এসিল্যান্ড ইয়ানুর রহমান জানান এখানে যে বাধ দিয়েছেন তাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হলেও চাষির জমি তাদের অনুমতি না নিয়ে বেড়ি দেওয়াটা অন্নায়।এবং এটার জন্য তিন দিন সময় দেওয়া হলো যদি তাদের বেড়ি তুলে না নেই। তাহলে এদের জন্য কঠোর সাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে।