গাংনীতে সাধু সেজে স্বর্ণ চুরি পরে গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনীতে একটি বাড়ি থেকে প্রায় এক বছর ধরে স্বর্ণ চুরি করে আসছিল রাকিবুল ইসলাম রিন্টু (২৩)।

প্রায় এক বছর ধরে সে বিভিন্ন সময় একই বাড়ি থেকে স্বর্ণের গহনা চুরি করে আসছিল। চোর রাকিবুল ইসলাম রিন্টু উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের মোঃ বাদল মন্ডলের ছেলে। সে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড বয় হিসেবে চাকুরি করতো বলে জানা যায়।

রাকিবুল ইসলাম রিন্টু গাংনী পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার আলিয়া মাদ্রাসায় জিনারুদ্দিনের বাসায় থাকতো। বাড়ির লোকজন তাকে বিশ্বাস করতো বলে জানা যায়। ঐ বাড়িতে বৃদ্ধ জিনারুদ্দিন ও তার স্ত্রী বসবাস করতো। বছর খানেক আগেও ঐ বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার চুরি হলেও রাকিবুল ইসলামকে কেউ সন্দেহ করেনি। গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে ঐ বাসা থেকে রিন্টু আবারও স্বর্ণের গহনা চুরি করে বলে ঐ বাড়ির লোকজন তাকে সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরে ২৬ তারিখে সে চুরির কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায়। স্বীকারোক্তির দিনই থানায় রিন্টু ও তার সহযোগি মেহেরপুরের বোস পাড়ার নরেন্দ্র নাথের ছেলে অরুপ জুয়েলার্সের মালিক স্বপন কর্মকারের নামে এজাহারের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয় যার নং ১৭। এরপর একই দিনে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল বিজ্ঞ আদালতে তারা দুজনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলোক জবানবন্দী দেয়।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর ধরে ৪বার বিভিন্ন সময় তারা মোট ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে। তাকে গ্রেফতারের সময় তার নিকট থেকে সর্বশেষ চুরি যাওয়া ১ ভরি স্বর্ণালংকারের সাথে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও অলংকার বিক্রয়ের ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে সে মেহেরপুর জেল হাজতে রয়েছে।