
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামে সরকারি সার বিতরণে একটি পক্ষ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানক্ষুন্নের চেষ্টা করছে দাবি করে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাড়াডোব গ্রামে তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। এতে মূল ঘটনা গোপন রেখে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাস্তবে আমি একজন ভুক্তভোগী। গাড়াডোব একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম। এ মাসে সরকারিভাবে বিসিআইসি ডিলার ও সাব-ডিলারের মাধ্যমে দুই উৎস থেকে মোট ৩৬ বস্তা সার পাওয়া যায়। এছাড়াও বিএডিসি ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত সারগুলো একত্র করে, কৃষকদের প্রয়োজন ও জমির প্রস্তুতির ভিত্তিতে ধাপে ধাপে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের আগে প্রয়োজন তাদের আগে ও যাদের পরে প্রয়োজন তাদের পরে সার দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়— কৃষি অফিস, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ও কৃষকদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতীতে এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ মাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রকৃত কৃষকদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সবাই মিলে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবু কিছু মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এতে এলাকাবাসী বিভ্রান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন, আবিদুল হক, আব্দুস সালাম, ফরিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।