
মেহেরপুরের গাংনীতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে আব্দুল খালেক (৪৮) নামের এক ভ্যানচালককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
ভ্যানচালক আব্দুল খালেক গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত চেতন মন্ডলের ছেলে।
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরের দিকে গাংনীর সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে।
গাংনী থানা পুলিশ তাকে আটক দেখিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভিকটিমের মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি বানী ইসরাইল জানান, চলতি মাসের ২১ তারিখে ওই শিশুটি অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের ভ্যানে করে নিজ বাড়ি গাঁড়াডোব গ্রামে ফিরছিল। পথিমধ্যে বাঁশবাড়িয়া তেলপাম্পের কাছে এসে শিশুটিকে একা পেয়ে আব্দুল খালেক তাকে বোতলের কোমল পানীয় খাওয়ানোর প্রস্তাব দেয়। শিশুটি তা খেতে অস্বীকার করে। পরে সে নানাভাবে অসামাজিক ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলে কুপ্রস্তাব দেয়। তখন শিশুটি বুদ্ধিমত্তার সাথে ভ্যান থেকে নেমে পড়ে এবং বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পিতা-মাতাকে জানায়।
পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন ভ্যানচালক খালেককে খুঁজতে থাকেন। আজ দুপুরে শিশুটি তাকে সনাক্ত করলে স্থানীয়রা আব্দুল খালেককে ধরে গণধোলাই দেন এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গাংনী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত খালেক ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা ইসরাফিল বাদী হয়ে ২০০০ সালের শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-৩০, তারিখ: ২৭/০৭/২৫)।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।