
গাংনীর ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষের সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে মারাত্মক আহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিস্টি খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আহত শিশু শিক্ষার্থী মিস্টি খাতুনকে দেখতে ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আসেন তিনি।
এসময় গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মুনসুর আলম, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা.মুত্তালিব হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের পক্ষ থেকে আহত শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা করেন।
জানা গেছে, গেল সপ্তায় গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিস্টি খাতুন নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মাথায় বিদ্যালয়ের সিলিং ফ্যান খুলে মাথায় পড়লে মিস্টি খাতুন রক্তাক্ত জখম হয়। ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে। শিশুটির মাথা ও মুখে ৪৭ টি শেলাই দেয়া হয়েছে।
পরে মুমূর্ষ অবস্থায় মিস্টি খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিস্টি খাতুন ভাটপাড়া গ্রামের দিন মজুর মিজানুর রহমানের মেয়ে।।
ভাটপাড়া (কুঠি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিশু শিক্ষার্থী মিস্টি খাতুনের মাথায় ফ্যান খুলে পড়লে সে মারাত্মক আহত হয়। এবিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিতে আসে।