গাংনীতে হাসপাতালে উত্তেজনার অবসান !

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা স্যাকমো তানভিরকে লাঞ্চিতের ঘটনায় ডায়াগনস্টিক মালিক দেলোয়র হোসের মিঠুর সাথে সমঝোতা করেছেন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ সভা পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইসএ রিয়াজুল আলম। আধাঘন্টার বৈঠকে সব দোষ পড়ে স্যাকমো তানভিরের ওপর। কিন্তু টিএইচও রিয়াজুল আলমের পাশে বসে থেকে মিঠু ছবি পোষ্ট করায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

জানাগেছে. গতকাল সোমবার সাহারবাটি গ্রামের দিনমজুর শুকুর আলী চিকিৎসার জন্য আসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে স্যাকমো তানভিরের কাছে সমস্যার কথা জানান শুকুর আলী। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও স্যাকমো তানভির ৬টি টেস্ট লিখে একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভিজিটিং কার্ড ও তানভিরের ভিজিটিংকার্ড সংযুক্ত করে দেয়া হয়। এনিয়ে গাংনীস্থ এইসএম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক দেলোয়ার হোসেন মিঠু হাসপাতালে গিয়ে স্যাকমো তানভিরকে লাঞ্চিত করেন। এমন অভিযোগ করেন তানভির। ভুক্তভোগী শুকুর আলী টিএইসএ বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে স্যাকমো তানভিরও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনাকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী শুকুর আলীর অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। সেই সাথে তানভিরও তার অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। উভয় উভয়ের ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে আপোষ করার উদ্যোগ নেন স্বাস্খ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা এম রিয়াজুল আলম। অন্যদিকে সালিশ বৈঠকে স্যাকমো তানভির ও ডায়াগনষ্টিক মালিক দেলোয়ার হোসেন মিঠু টিএইসএর পাশের চেয়ারে বসে থাকার ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হলে টিএইসএ সমালোচনার মুখে পড়েন।

এবিষয়ে দোলোয়ার হোসেন মিঠুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হিসেবে সালিশ সভায় অংশ গ্রহন করিনি। আমি উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সালিশে অংশ গ্রহন করেছিলাম। তাছাড়া একজন ভিক্ষুককে বিনা প্রয়োজনে অর্থ উপার্জনের লালশায় টেস্ট দিয়েছে। এ টেস্ট গুলি গাংনী হাসপাতালেই সরকারি ভাবে করোনো হয়। তাই প্রতিবাদ করার জন্য গিয়েছিলাম। তানভিরের সাথে আমার অসৌজন্যমুলক কিছুই ঘটেনি। যা ঘটেছে তা ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করা আছে। আমি একজন শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে সরকারি সেবা পাইয়েদিতে অসহায় শুকুর আলীর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

স্যাকমো তানভিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়াজুল আলম বলেন, স্যাকমো তানভির টেস্ট দেয়ার অধিকার রাখেনা। শুকুর আলী ও তানভির দুজনেই তাদের অভিযোগ পত্র প্রত্যাহার কারার জন্য লিখিত দিয়েছেন। এবং তাতে উল্লেখ করেছেন তারা ভুল বুঝে এসব করেছেন। দেলোয়ার ও তানভিরের সাথে যা ঘটেছে সেবিষয়ে তারা নিজেরাই বন্ধুত্বের কারনে বুকে বুক মিলিয়ে নিয়েছেন আমার কাছে বসেছিলেন শুধু মাত্র জানানোর জন্য। তিনি আরো বলেন আগেই তারা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন সে ক্ষেত্রে তারা কেউই আর অভিযোগের মধ্যে পড়েনা। গাংনীর মানুষকে আমি সম্মান ও শ্রদ্ধাকরি। আমিও চাই গাংনী হাসপাতালে সকলে সেবা গ্রহন করুক।