গাংনীর কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীর কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত

কুতুবপুর পুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির সাথে শিক্ষকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ সময় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সামনে ১০ম শ্রেনী ও দ্বাদশ শ্রেনীর বর্ড পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে মত বিনিময় সভায় শিক্ষার্থী দের লেখা পড়ার মান উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের দাতা সদস্য, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম। গভর্নিং বডির সদস্য জিনারুল ইসলাম, চুন্নু মিয়া, খায়রুল ইসলাম, কল্পনা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক আমজাদ হোসেন,মাঝারুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন,জয়নাল আবেদিন,আবু তাহের সিদ্দিকী, সহকারী শিক্ষক রেজাউর রহমান,লাভলু হোসেন,জুহিন আলী, নাজমুল হোসেন ইকলাছ সুমনা খাতুন পল্লবী সাহা সহ আরো শিক্ষক বৃন্দ।

এ সময় শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য হাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান আগামী তে ছাত্র ছাত্রী দের রেজাল্ট ভালো করতে শিক্ষকদের সর্বচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে, শিক্ষক ও অবিভাবকের সাথে মাসিক সমন্বয় সভার আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ১০০% নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।জি পি এ ৫.০০ এর জন্য ভালো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে অতিরিক্ত ক্লাস চালু করতে হবে,তাদের পিতা মাতার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখতে হবে।কারন ভালো গাইডলাইন না পেলে ভালো শিক্ষার্থীরাও ঝরে পড়তে হবে।শিক্ষকদের সফলতা তখনই হয় যখন প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট ভালো হয় কাজী আপনারা অনেক দায়িত্ববান শিক্ষক আমি জানি তবে শিক্ষার্থীদের কে আরো মোটিভেশন করে তাদের কে গড়ে তুলতে হবে।

এ বিষয়ে কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম বলেন আমরা এবারচেষ্টা করবো ১০০% পাশের হার নিশ্চিত করা।এবং জি পি এ ৫ এর হার আরো বৃদ্ধি করা।তবে এখানে আমার সকল সহযোদ্ধা শিক্ষকদের অগ্রনি ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ বিষয়ে রেজাউর রহমান স্যার জানান ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও গভর্নিং বডির সভাপতি মিজানুর রহমান নির্দেশনা দেন টেস্ট পরীক্ষা তে কেউ একের অধিক সাবজেক্টে ফেল করলে তার বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে না।যদি দিতে হয় তাহলে সেই শিক্ষার্থীর অবিভাবক কে সাথে নিয়ে লিখিত দিতে হবে তবেই তাকে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে। তাই আমরা সকল শিক্ষক ও কমিটেড আগামী তে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ভালো করতে আমাদের ভূমিকা সবার উর্ধে থাকবে।

এ সময় সকল শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে আগামী আরো কি কি উদ্যোগ গ্রহন করলে শিক্ষার্থী দের আরো লেখা পড়ার মান ভালো হবে তা পরিকল্পনা করেন এবং তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।