গাংনীর খাসমহলের মৎস্য চাষি লিটনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনীর কাথুলি ইউপির খাসমহল গ্রামের সরকারী পুকুর খননকে কেন্দ্র করে প্রকল্প সভাপতি ও মৎস্য চাষি লিটনকে হত্যার চেষ্টা করেছে স্থানীয় মাদক ব্যাবসায়ীরা।
বৃহষ্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সরকারী পুকুর পাড়ে এ ঘটনাট ঘটে। গ্রামের মৃত চান্দুর ছেলে আহম্মদ আলী ও তার ভাই মোমিন হাসুয়া দিয়ে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে লিটনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। চাঁদা না দেয়ায় এ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন লিটন। লিটন খাসমহল গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে।
লিটন জানান, তিনি নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তাকে খবর দেন যে, সরকারী পুকুর পাড়ের বালু কে বা কারা উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি পুকুর পাড়ে আসেন। এসময় কাউকে দেখতে না পেয়ে তিনি মিয়ারুলের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় আহম্মদ ও মোমিন অপহরণের চেষ্টা করে।
আহম্মদ আলী লিটনকে হাসুয়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালালে লিটন হাসুয়া কেড়ে নেয় এবং মোমিন ও আহম্মদ মিলে তাকে মারপিট করে। আহম্মদ আলীর ফেনসিডিলের চালান প্রশাসনের লোকজন বেরিকেড দিয়ে কেড়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে লিটনের কাছে চারলাখ টাকা চাদা দাবী করে তারা।
এতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাগান্বিত হয়ে হত্যার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ করেছেন লিটন। এদিকে মিয়ারুল লিটনের প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ায় আহম্মদ ও লিটন মিয়ারুলের দেড় লাখ টাকা মুল্যের একটি গরু নিয়ে যায়। আহম্মদ আলীর নামে আটটি মামলা রয়েছে। মোমিনের নামেও রয়েছে একাধিক মামলা।
লিটন আরো জানান, সম্প্রতি তিনি সরকারী পুকুর খনন করছেন। আট লাখ টাকা ব্যয়ে খননকৃত পুকুরটি হস্তগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা। তারা ওই পুকুর খননের ছবি ও ভিডিও ধারন করে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিলে প্রশাসন তদন্ত শুরু করেন। বিষয়টি ভুয়া প্রমানিত হয়।
অবশেষে লিটনকে শায়েস্তা করতে কৌশল বেছে নেন ওই প্রভাবশালীরা। তারা এলাকার পরিচিত মাদক পাচারকারীদেরকে লেলিয়ে দেয়। অবশেষে আহম্মদ ও মোমিন এ হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান লিটন।
বিষয়ে আহমদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, আমি তার জমির বন্দক দিয়েছি কিন্তু সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না আজকাল করে ঘুরে নিয়ে বেড়াচ্ছে আমি সেই টাকা চাইতে গিয়ে ছিলাম।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।