মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদের সংস্কার ও উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি প্রকল্প থেকে মসজিদটির জন্য ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী।
অভিযোগ অনুযায়ী, ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দকৃত অর্থে দ্বীতল ভবনের বাহিরের অংশ প্লাস্টার, থাই গ্লাস, বারান্দার গ্রীল, চিলেকোঠার বিম তুলে ঢালাইসহ প্লাস্টার, দরজা-চৌকাঠ, বৈদ্যুতিক তার বসানো এবং পুরো ভবনের রং করার কথা থাকলেও এখনো অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বরাদ্দের আনুমানিক ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজ করে পুরো বিল তুলে নিয়েছেন। বিশেষ করে চিলেকোঠার সানসেটসহ বিম প্লাস্টার, দরজা-চৌকাঠ, বৈদ্যুতিক তার, গ্রীলের রং এবং বিল্ডিংয়ের সামগ্রিক রঙের কাজ বাকি রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এতে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
মসজিদ কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাজের মধ্যে এখনো আনুমানিক ৯০ হাজার টাকার কাজ বাকি। আমরা চাই দ্রুত অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হোক।
মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের জানামতে, জুন মাসেই পুরো বিল উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ প্রায় ৯০ হাজার টাকার কাজ এখনো বাকি। অসম্পূর্ণ কাজ রেখে কীভাবে পুরো বিল তোলা হলো এটি বড় প্রশ্ন। ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে বাকি কাজ করার তাগিদ দিলে তিনি গুরুত্ব দেয় নি। পরবর্তীতে কোন রকম যোগাযোগ নেই একদম লাপাত্তা।
ঠিকাদার খোকন মিয়া বলেন, কাজটি আসলে আক্তারুজ্জামান মাস্টারের কাছ থেকে নিয়েছি। রংয়ের কাজ করা হয়নি, চিলেকোঠার দরজা-চৌকাঠ সিডিউলে নেই বলে কাজ হয়নি। রংয়ের কাজ আর তার এই দুটো বাদে সব কম্প্লিট আছে তবে মসজিদ কমিটি চাইলে এগুলো করে দেওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী রোকনউজ্জামান বলেন, আমি বাইরে আছি, বিষয়টি নোট করেছি। পরে জানাবো তবে এখন পর্যন্ত তিনি কিছুই জানাইনি।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
মুঠোফোনে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।