গাংনীর টিএইচও’র বিরুদ্ধে সরকারি তথ্যগ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগ

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলমের বিরুদ্ধে সরকারি তথ্যগ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সোহেল মাহমুদ সোহাগ নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মেহেরপুর সিভিল সার্জনের কাছেও অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রের কপি মেহেরপুর প্রতিদিন এ সংরক্ষিত রয়েছে।

অভিযোগকারী সোহেল মাহমুদ সোহাগ গাংনীর শিশিরপাড়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ আবুল কালামের ছেলে।
অভিযোগে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) আনুমানিক আড়াইটার সময় তিনি গাংনী হাসপাতালে যান। হাসপাতালের দেয়ালে লাগানো বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত জরুরী ফোন নম্বরসহ একটি ফেস্টুন দেখতে পেয়ে তিনি ছবি তোলেন।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলম সিসি ফুটেজে বিষয়টি দেখতে পেয়ে সরকারি গাড়ি নিয়ে সোহাগকে অনুসরণ করেন এবং কাথুলী মোড়ে গিয়ে তাকে থামান। এসময় তিনি ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, জরুরি চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে বলে ছবি তুলেছেন এমনটি জানায় সোহাগ। তিনি উত্তেজিত হয়ে তার বিরুদ্ধে হট লাইন নাম্বারে অভিযোগ করবে কি না বা কেউ তাকে তার পিছে লাগিয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করে ধমকাতে থাকেন ।

সোহাগ অভিযোগে আরো জানান, তিনি আমাকে তার গাড়িতে উঠাতে পিড়াপিড়ি করেন। আমি গাড়িতে উঠতে না চাইলে আমার ফোন কেড়ে নেবার চেষ্টা করেন এবং আমাকে হাসপাতালের আশেপাশে দেখলে দালাল বলে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান ।
এ ঘটনায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এই হুমকি এবং অসৌজন্যতা আমার জন্য চরম অপমানজনক।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডাঃ রিয়াজুল আলম গাংনী উপজেলায় দায়িত্বে আসার কয়েকমাস পর থেকেই বেশ কিছু অনিবন্ধিত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনের সাথে আতাত করে তাদের নিয়োজিত দালালদের হাসপাতালে প্রশ্রয় দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাসপাতালের আয়া,বয় সিস্টারসহ কর্মচারী, কর্মকর্তাদের সেই সব প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠানোর জন্য চাপ প্রয়োগ এবং সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে অজ্ঞানের ডাক্তার ছাড়াই ওইসব ক্লিনিকে ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করেন। সেই সাথে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক মালিক ছাড়াও তিনি স্থানীয় কিছু সমাজবিরোধী মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে চাপ প্রয়োগ ও হয়রানি করে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। এতে এই অঞ্চলের সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।