গাংনীর নওপাড়ার জোড়া হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

গাংনীর নওপাড়া গ্রামের বাহাজেল ও তৌহিদুল হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস রায় দেন।

একই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

দন্ডিতরা হলেন, গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের খেদের আলীর ছেলে বাদল হোসেন, ছহির উদ্দীন চৌকিদারের ছেলে আলামিন হোসেন ও হাসেম আলী।

তবে আদালতে শুধুমাত্র বাদল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।এই মামলায় দোষী প্রমানিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারী রাত আনুমানিত সাড়ে ৮ টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী নওপাড়া গ্রামের বাহাজেল আলীর বাড়িতে হানা দেয়। এসময় বাহাজেল আলী ও তার আত্মীয় সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তৌহিদ গল্প করছিলেন। সন্ত্রাসীদের দেখে তৌহিদ দৌড়ে পালিয়ে ঘরের মধ্যে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা তৌহিদকে ধরে আনার জন্য ঘরের দিকে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেন বাহাজেল।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাহাজেল আলীকে রামদা দিয়ে কানের উপর কোপ দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পরে সন্ত্রাসীরা তৌহিদকে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে ভারতীয় নিয়ে যায় ভারতীয় ধলা সীমান্তে। সেখানে তাকেয় গুলি ও জবাই করে হত্যা করে ভারতীয় তার কাটার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।

পরের দিন সকালে ভারতীয় তারকাটা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। এছাড়া বাহাজেলকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এঘটনায় তৌহিদুলের ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার গাংনী থানার মামলা নং ৩. তারিখ ০৭/০১/২০০৫ ইং।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ০৮/০৫/২০০৫ ইং তারিখে গাংনী থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহ উদ্দীন ও আনোয়ার আলম আযাদ ১৩ জনের নামে চার্জশীট প্রদান করেন। মামলায় মোট ১৮ জন স্বাক্ষী তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলায় রাস্ট্রপক্ষের কৌশলী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষের কৌশলী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, খন্দকার আব্দুল মতিন ও কামরুল ইসলাম।