গাংনীর বামন্দী-বালিয়াঘাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী-বালিয়াঘাট সড়ক দীর্ঘ এক যুগেও সংস্কার না হওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এ কারণে ঐ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে আবারও চলাচলে উপযোগী করে তোলার দাবি এলাকাবাসির।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বামন্দী কাজিপুর সড়কের টেন্ডার পায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এলাকার মেসার্স জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স।

এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কার্যাদেশ দিতে গড়িমশি করার কারণে ঠিকাদার জাকাউল্লাহ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঠিকাদারের পক্ষে থাকলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আপিল করার কারণে মামলাটি ঝুলে রয়েছে বলে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।

স্থানীয়রা জানান, বামন্দী-বালিয়াঘাট সড়কে সব ধরনের গাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে পারছেনা। কাজিপুর বালিয়াঘাট অঞ্চলের লাখো মানুষকে দেবিপুর হয়ে বামন্দী সহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। একদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

কয়েকজন অটোবাইক চালক জানান, বামন্দী-বালিয়াঘাট সড়কে সব ধরনের গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সংসার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন। তাই দ্রত সময়ের মধ্যে সড়ক পূর্ণ নির্মাণের দাবি করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুল ইসলাম জানান, বামন্দী-বালিয়াঘাট সড়কে চলতে গিয়ে গত দু মাসে অন্তত শতাধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অন্তত ৫০ জন। জন প্রতিনিধি হয়ে জনগণের কষ্ট দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোন উপায় নেই। তিনি সাময়িক ভাবে চলাচলের জন্য ইটবালি দিয়ে উপযোগি করে গড়ে তোলার দাবি করেন।

বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যাম শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ শেখ জানান, মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তি করে সড়ক সংস্কারের চেষ্টা চলছে। আসা করা যাচ্ছে আগামী দু এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে মেহেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আছাদুজ্জামানের সরকারি মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।

মামলার বাদী ঠিকাদার জাকাউল্লাহ জানান, চলতি মাসের ৩০ তারিখে মামলার দিন ধার্য আছে। ধার্য তারিখে মামলাটি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করা হবে।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান জানান, ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের ৩০ তারিখে মামলার সমাধান হবে। সমাধান হওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা হবে।