গাংনী পৌর বিএনপি'র সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ডাকুকে গ্রেফতার ষড়যন্ত্র অভিহিত করে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি'র এই জনপ্রিয় নেতাকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারকে সাজানো ও ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে ওই দিন থেকেই প্রতিবাদ সভা, সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বিএনপি'র স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করে নানাভাবে স্টেটমেন্ট দিচ্ছে।
তারা দাবী করেন, আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীর ইন্ধনে গোলাম মোস্তফা ডাকুকে বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশসহ আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে। তাঁকে একাধিকবার গ্রেফতার করে কারাবরণ করিয়েছে। শুধু মামলা নয়, তার বাড়ি ঘরে হামলা করে উচ্ছেদ করেছে তারা।
গাংনী উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি অবিলম্বে গোলাম মোস্তফাকে মিথ্যা সাজানো মামলা থেকে নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন এবং সকল মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। এছাড়া মিথ্যা মামলাটি তদন্তের দাবী জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর ভোররাতে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিনসহ গোলাম মোস্তফা ডাকুকে আটক করে যৌথবাহিনী। গোলাম মোস্তফা ডাকু গাংনী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের চৌগাছার (ভিটাপাড়া) মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
প্রসঙ্গত, গোলাম মোস্তফা ডাকু কে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃংখলাবাহিনী।