গাংনীর ভাটপাড়ায় পানিবন্দি অর্ধশত পরিবার

মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়নর ভাটপাড়া গ্রামে মাত্র একটি কালভার্ট না থাকায় প্রতিবছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে পড়েন গ্রামের অর্ধশত পরিবার। বিভিন্ন সময়ে জন প্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন একটি কালভার্টের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ দুর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও আজো তা কমেনি। বরং বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে কাজ আমাদের না সড়ক ও জনপদের। তবে সড়ক ও জনপদ বিভঅগের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে গাংনী ভায়া কাথুলী সড়ক। সড়কটি একটি গ্রামকে দ্বি-খন্ডিত করে রেখেছে। মাঝখান দিয়ে পাকা রাস্তা হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা নেই।

গ্রামের অর্ধেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অল্প বৃষ্টি হলেও প্রতিটি বাড়ির উঠানে হাটু পানি জমে যায়। হাটু পানিতে মানবেতর জীবন যাপন করেন প্রায় অর্ধশতপরিবারকে। অন্য কোনো জায়গা না থাকায় পানিতেই রাখাতে হয় গৃহপালিত পশুপাখি। ফলে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় গৃহপালিত পশুপাখি। শিশুদের নিয়ে পড়তে হয় অন্যরকম বিড়ম্বনা ও ঝুঁকিতে। গ্রামবাসীর এই পানিবন্দি জীবন যাপন দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর বর্ষাতে গ্রামের মানুষ উপজেলা প্রশাসনের কাছে আসলে শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া পরিবর্তন হয়নি ভুক্তভোগীদের।

পানিবন্দি পরিবারের একজন আইদুল ইসলাম জানান, বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও বৃদ্ধ মা। অল্প বৃষ্টি হলেই উঠানে জমে যায় হাটু পানি। গতবছর এ সময় বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়েছিল আমাদের একমাত্র বসবাসের ঘরটি। আমরা গ্রামবাসির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে নির্বাাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি কালভার্টের ব্যাবস্থা করে পানিবন্দী পরিবারকে রক্ষা করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমন কথা জানিয়ে ভাটপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, একবছর পেরিয়ে গেলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি,কমেনি আমাদের দুর্দশা। গ্রামবাসির দুদর্শা রয়েই গেছে। গতকালের বৃষ্টিতে আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের অর্ধশত পরিবার। গ্রামবাসীর প্রাণেরদাবী একটি মাত্র কালর্ভাট স্থাপন করা হলে গ্রামের মধ্যে জমে থাকা পানি কাজলা নদীতে নিষ্কাশিত হবে। জেগে উঠবে পানিবন্দি পরিবার। পানিবন্দি জীবন থেকে রেহায় পেতে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দুর্দশা দেখেছি। কাজটি সড়ক ও জনপদের আওতাভুক্ত । সড়ক ও জনপদের কাছে আবেদন করা হলে গ্রামবাসির দুর্ভোগ লাঘব হবে।